এঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সফল ক্রিকেটার। কিন্তু, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ভাগ্যের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয়েছিল তাঁদের। দলের কোনও এক জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের চোট-আঘাত সুযোগ এনে দেয়। দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েক জনকে।
চেতেশ্বর পূজারা: ভারতীয় টেস্ট দলের অন্যতম ভরসার ক্রিকেটার। কিন্তু, ২০১০-১১ সালে যখন সুযোগ পান, তখন ভাগ্যের উপরই নির্ভর করতে হয়েছিল। সে সময় দারুণ ফর্মে ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। কিন্তু, চোট আঘাতের কারণে দলে থাকতে পারেননি তিনি। সুযোগ পান পূজারা।
অ্যান্ড্রু স্ট্রস: ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে লর্ডসে টেস্ট। নেট প্র্যাকটিসে চোট পান মাইকেল ভন। আর এই চোটই ভাগ্য খুলে দিয়েছিল স্ট্রসের। যিনি পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল অধিনায়কও হন বটে।
মাইকেল হাসি: এই অস্ট্রেলীয় তারকাও কিন্তু সুযোগ পেয়েছিলেন অনেকটা ভাগ্যের হাত ধরে। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সময় চোট পান জাস্টিন ল্যাঙ্গার। আর এই চোটই হাসির সামনে দরজা খুলে দেয়। পরবর্তীতে হাসি একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন।
বিরাট কোহালি: এই তালিকায় রাখতেই হবে বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ককে। সে সময় মাঠে আগুন ছড়াচ্ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। চোটের কারণে মাঠের বাইরে বসতে হয় বীরুকে। সুযোগ পান কোহালি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম সুযোগেই নজর কাড়েন।
ভিভিয়ান রিচার্ডস: এক সময় বিশ্ব ক্রিকেটের ত্রাস। বোলারদের শাসন করা ভিভিয়ান সুযোগ পেয়েছিলেন এক সতীর্থের চোটের ফলে। লরেন্স রো-এ চোটের ফলে দলে সুযোগ পান রিচার্ডস। এর পরবর্তীটা তো সবারই জানা।
রাহুল দ্রাবিড়: ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’-ও কিন্তু ঠিক এমন ভাবেই সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৯৬ তে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম একাদশে থাকা রাহুলের সুযোগ পাওয়ার কথাই ছিল না। কিন্তু, সঞ্জয় মঞ্জরেকরের চোট প্রথম একাদশের দরজা খুলে দিয়েছিল রাহুলের সামনে।