প্রথম দুই ম্যাচে ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। তৃতীয় ম্যাচে কিন্তু তেমন কোনও অঘটন ঘটেনি। প্রথমে ক্রুণাল-কুলদীপের ঘূর্ণি, পরে কোহালি-কার্তিকের দাপট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০তে অসাধারণ জয় পেল ভারত। শুধুই কী ক্রুণালদের দাপট? না আছে আরও কারণ? দেখুন তৃতীয় টি২০তে ভারতের জয়ের কয়েকটি কারণ।
ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত: রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ভারতের তুলনা এই মুহূর্তে খুব কম দেশের সঙ্গেই করা যায়। রোহিত-শিখর-কোহালি-কার্তিকরা যে দলে আছেন, কোনও রানই বোধ হয় যথেষ্ট নয়। এমন একটা টিমের বিরুদ্ধে অজি অধিনায়ক টসে জিতে কেন ব্যাটিং নিলেন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
স্পিনারদের দাপট: টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার ফিঞ্চ এবং শর্ট। কিন্তু, কুলদীপ-ক্রুণাল আক্রমণে আসতেই ছবিটা পাল্টে যেতে লাগল।
ক্রুণালের ভেল্কি: দিন দিন পরিণত হয়ে উঠছেন কুলদীপ। কিন্তু, এ দিন সকলকে ছাপিয়ে গেলেন অলরাউন্ডার ক্রুণাল। চার উইকেট নিয়ে একাই ভেঙে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সব প্রতিরোধ। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টি২০-তে স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স হল তাঁর।
কুলদীপ যাদব: এ দিনও অব্যাহত রইল বল হাতে কুলদীপের ভেলকি। অজি ব্যাটসম্যানদের বারবার বিব্রত করলেন এই চায়নাম্যান। ভুবি-খলিল-বুমরাদের অসাফল্যকে কখনই বুঝতে দিলেন না। মাত্র একটি উইকেট পেলেও চার ওভারে রান দিলেন মাত্র ১৯।
শিখর-রোহিত: প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে লড়াই করার মতো রান তুলেছিলেন অজি ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু, তাদের সব হিসেব-নিকেশ যেন পাল্টে দিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের থেকেও আক্রমণাত্মক ছিলেন। প্রথম থেকেই মাঠের চারপাশে স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন। শুরুতেই গব্বরের ক্ষিপ্রতায় অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।
দীনেশ কার্তিক: তাঁকে বলা হয় টি২০ তে ভারতীয় দলের স্পেশালিস্ট। কেন বলা হয় সে কথা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে যে পার্টনারশিপ গড়লেন তা এক কথায় অনবদ্য।
বিরাট কোহালি: অধিনায়ক কোহালি সম্পর্কে কোনও বিশেষণই বোধ হয় যথেষ্ট নয়। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বের এক নম্বর। আজ তাঁর ৪১ বলে ৬১ রান বুঝিয়ে দিল কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।