শেষ পর্যন্ত সুনীল ছেত্রী, আনেলকাদের সঙ্গী হচ্ছেন সনি নর্ডি। আই লিগ জয়ী মোহনবাগান টিমের অন্যতম সেরা অস্ত্র হাইতি স্ট্রাইকারকে সই করাল আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই সিটি এফসি।
সনিকে চেয়েছিল আটলেটিকো দে কলকাতা এবং এফসি পুণে সিটি। কিন্তু অনেক বেশি টাকা দিয়ে তাঁকে তুলে নেয় মুম্বইয়ের টিম। কথাবার্তা পাকা হয়ে গেলেও চুক্তির কিছু প্রক্রিয়া এখনও বাকি আছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মুম্বই এবং মোহনবাগানের সঙ্গে আলাদা দু’টি চুক্তি হচ্ছে সনির। চুক্তি অনুযায়ী, চার মাস সুনীলদের সঙ্গে খেলে বাকি বছর কাতসুমিদের সঙ্গে খেলবেন সনি। গত বছর আইএসএল খেলতে না পেরে কিছুটা মনমরা ছিলেন হাইতির জাতীয় দলের হয়ে বর্তমানে কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলা ফুটবলার। মুম্বইতে তাঁর খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সনি এতটাই উচ্ছ্বসিত যে বলে দিলেন, ‘‘আমি মুম্বই সিটি এফসিতে খেলব জেনে এতটাই খুশি যে কবে টিমের সঙ্গে মাঠে নামব তার অপেক্ষায় রয়েছি। আইএসএল আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। মুম্বইয়ের সাফল্যের জন্য একশো শতাংশ দেব।’’ সুনীল ছাড়াও ক্লাবে তাঁর সতীর্থ কিপার দেবজিৎ মজুমদার এবং ডিফেন্ডার কিংশুক দেবনাথকেও পাবেন তিনি।
সনির মুম্বইতে যোগদানের খবরে অবাক নন বাগান কোচ সঞ্জয় সেন। বললেন, ‘‘সনির সঙ্গে মুম্বইয়ের কথাবার্তা চলছিল জানতাম। আমার এখন চিন্তা, শেষ পর্যন্ত কলকাতা লিগে কত জনকে পাব।’’ আজ বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের প্রাক মরসুম প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। ফিজিও গার্সিয়ার নেতৃত্বে মূলত ফিজিক্যাল ট্রেনিং হবে। সোমবার থেকে সম্ভবত বল নিয়ে ট্রেনিং শুরু হবে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তাও একজন বিদেশি পেয়েছেন প্রাক মরসুম ট্রেনিংয়ে। সঞ্জয় তাও পাচ্ছেন না। বলে দিলেন, ‘‘কাতসুমি, সনি এবং গুস্তাভর কাগজপত্র ক্লাব তৈরি করছে বলে শুনেছি। হয়তো জুলাইয়ের শেষ দিকে তিন জন চলে আসবে।’’
তা হলে তিন জনকে নিয়েই কি কলকাতা লিগ খেলবে মোহনবাগান? সঞ্জয় বললেন, ‘‘সেটা এখন বলা সম্ভব নয়। সনি মার্কি প্লেয়ার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করায় আমাদের নতুন করে বিদেশি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, সচিব সহ ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের বেশির ভাগই পুরীতে। তাঁরা ফিরলেই চতুর্থ বিদেশি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সঞ্জয় অবশ্য বললেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে কোনও বিদেশি নিতে চাই না। লিগের মাঝপথেও যদি নতুন বিদেশি আসে কোনও সমস্যা নেই।’’