সুনীলরাও এশিয়াডে যাবেন কি না ঠিক হবে সোমবার

শুধু উইম কোভারম্যান্সের দলই নয়, টেবল টেনিস এবং হ্যান্ডবল টিমকেও সরকারি খরচে এশিয়াডে পাঠাতে নারাজ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওনে এশিয়াড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৯
Share:

শুধু উইম কোভারম্যান্সের দলই নয়, টেবল টেনিস এবং হ্যান্ডবল টিমকেও সরকারি খরচে এশিয়াডে পাঠাতে নারাজ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক।

Advertisement

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওনে এশিয়াড। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা ৯৩৫ জন খেলোয়াড় এবং কর্তাদের একটি তালিকা জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য। চার বছর আগে গুয়াংজু এশিয়াডে ৬২৫ জনের ভারতীয় দল গিয়েছিল। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল জিজি টমসন বলে দিয়েছেন, “যে খেলায় পদক জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই তাদের পাঠানো হবে না। অনেক খেলার সঙ্গে তাই ফুটবল, টেবল টেনিস এবং হ্যান্ডবলকেও আমরা বাদ দিতে চাইছি। ফুটবলে সম্প্রতি পাকিস্তানের কাছেও হেরেছে ভারত। এ ব্যাপারে সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী।”

বেসবল, বোলিং, ফেন্সিং, রাগবি, সফ্টবল, সফ্ট-টেনিস, ক্যারাটে, ট্রায়াথলন দলের এশিয়াডে খেলা ইতিমধ্যেই ছেঁটে ফেলেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। কিন্তু এত প্রস্তুতি ম্যাচ, দীর্ঘ শিবির চালিয়েও শেষ পর্যন্ত সুনীল ছেত্রীদের ইনচিওনে পাঠানো নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় চিন্তিত এআইএফএফ কর্তারা। তাঁরা দফায় দফায় কথা বলছেন আইওএ কর্তাদের সঙ্গে। মঙ্গলবার কথা বলে এসেছিলেন সচিব কুশল দাস। ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বুধবার দেখা করেন আইওএ সচিব রাজীব মেটার সঙ্গে। সুব্রতবাবু বললেন, “ওঁদের সঙ্গে কথা বলে তো মনে হল ফুটবল দল পাঠাতে সমস্যা হবে না।”

Advertisement

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোভারম্যান্সের টিমকে সরকার নিজস্ব খরচে পাঠাতে রাজি না হলে কী করবে ফেডারেশন? সুব্রতবাবু বললেন, “আমাদের তো সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কাল মুম্বইতে কর্মসমিতির সভা আছে, সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।” আসলে ফুটবল দল পাঠানোর ব্যাপারে সবাই তকিয়ে আছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের দিকে। সবারই আশা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফোন করে অনুরোধ করলে সবুজ-সঙ্কেত পাওয়া যাবে। ’৯৪ এশিয়াডে এ রকম অবস্থায় অবশ্য দল পাঠায়নি ফেডারেশন। প্রতিবার ফুটবল দল এশিয়াডে গেলেও সে বার দল পাঠাতে টাকা দেয়নি ক্রীড়ামন্ত্রক। প্রথমে তৎকালীন ফেডারেশনের শীর্ষকর্তা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি নিজেদের খরচে দল পাঠাবেন বলেও শেষ পর্যন্ত পাঠাননি।

এমনিতেই কোভারম্যান্সের টিম এ বার যথেষ্ট শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে। ভারতের গ্রুপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং জর্ডন। সুনীল-রবিন সিংহদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা তাই ক্ষীণ। টেবল টেনিসের অবস্থাও একই রকম। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানের সঙ্গে লড়ে টিটিতে পদক আনার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় টিটি কর্তারাও চাইছেন, তাঁদের অন্তত ছয় জনের একটা দল যাক। টিটি ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ধনরাজ চৌধুরী বললেন, “সাধারণত আমরা দশ জনের টিম পাঠাই। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে যাতে ছয় জনের টিম এ বার যায় সেই চেষ্টা করব।”

মুম্বইতে বৃহস্পতিবারই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সরকারি উদ্বোধন হচ্ছে। প্রকাশ হবে লোগোও। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ফেডারেশনের সব সদস্যই। সেখানেই হবে কোভারম্যান্সের টিম নিয়ে সভা। কোচ হিসাবে ডাচ কোচের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তার পর কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে সভায়। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সুনীলদের এশিয়াডে যাওয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তিত সবাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন