বল বিকৃতির ঘটনায় বিদ্ধ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট। দাবানলের মতো এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বিভিন্ন দিক থেকে ধেয়ে আসা তীরে বিদ্ধ স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা। হয়েছে নির্বাসনও। কেউ বলছেন, আরও কড়া শাস্তি হওয়া উচিত ছিল, কেউ আবার তাঁদের মাফ করে দেওয়ার পক্ষে। অতিতে কিন্তু এমনও উদাহরণ রয়েছে, যখন বল বিকৃতিতে অভিযুক্ত হয়েও অবলীলায় ছা়ড় পেয়ে গিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু তারকা ক্রিকেটারকে।
মার্কাস ট্রেসকোথিক: লালার সঙ্গে মিন্ট মিশিয়ে বল বিকৃত করেছিলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। কিন্তু কেউই নজর করেননি এই ঘটনাটি। দীর্ঘদিন পর আত্মজীবনিতে এই কথা উল্লেখ করেন মার্কাস।
মাইকেল আথারটন: প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক আথারটনকেও একটা সময় বল বিকৃত করতে দেখা গিয়েছিল। পিচের ধুলো কুড়িয়ে তা পকেটে পুড়ে পড়ে তা বলে লাগাতে দেখা যায় তাঁকে। গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। তবে এই অপরাধে তাঁকে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ক্রিস প্রিঙ্গেল: কেরিয়ারের শুরুতেই প্রথম টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ ওঠে নিউজিল্যান্ডের এই পেসারের বিরুদ্ধে। ওই সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ১১টি উইকেটও পান তিনি। সেই সময় উন্নতমানের প্রযুক্তি না থাকায় সহজেই ছাড় পেয়ে যান তিনি। অবসরের পর বল বিকৃতির কথা স্বীকারও করে নেন ক্রিস।
স্টুয়ার্ট ব্রড: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টেস্টে জুতোর স্পাইক দিয়ে বল ‘ঘষতে’ দেখা যায় ব্রডকে। গড়িয়ে আসা একটি বলকে পায়ে চেপে থামান ব্রড। যদিও ব্রডের দাবি ছিল, তিনি এমনিই বলটিকে ওই ভাবে থামিয়ে ছিলেন। এই ঘটনায় কোনও তদন্ত হয়নি। পরে নাসির হুসেন জানিয়েছিলেন, ব্রড ক্রিকেটকে প্রতারিত করেছে। তিনি জানান, এমনটা যদি অন্য কোনও দেশের ক্রিকেটার করত, তা হলে আমরাই বলতাম যে সে প্রতারণা করেছে।
সচিন তেন্ডুলকর: ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ সচিনও নাকি বল বিকৃতি করেছিলেন। তবে এর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বলা হয় ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সিমের উপর আঙুল ঘোষে তা বিকৃত করার চেষ্টা করেন সচিন এবং এর দায়ে তাঁর ম্যাচ ফি-এর ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। নির্বাসিত করা হয় একটি টেস্টে। তবে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় সমর্থকরা। ওই সিরিজের তৃতীয় টেস্ট বয়কট করে বিসিসিআই।