ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এই মুহূর্তে মাঝপথে। বিশ্বের যে কোনও ফুটবল লিগের মতোই, লম্বা লিগের দ্বিতীয়ার্ধে সব টিম সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে থাকে প্রাণপণ। আইএসএল-এও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের দুই দল সমস্যার সমাধান হিসেবে কোচ বদল করে ফেলেছে।
দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন কেরল ব্লাস্টার্সের কোচ রেনে মিউলেনস্টিন। তাঁর জায়গায় নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্বে এসেছেন ডেভিড জেমস। ঠিক সে ভাবেই নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ জোয়াও দে জিউস সরে গিয়ে তাঁর জায়গায় এসেছেন চেলসির কোচ আভ্রাম গ্র্যান্ট।
আমার মতে এ বার কেরল ব্লাস্টার্স-এর ফলাফল অনেকটাই হতাশাকর। কারণ মিউলেনস্টিন কোচ হিসেবে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তার উপরে কোচির মাঠে দর্শক সমাগম। ফলে কাগজে কলমে ‘হলুদ জার্সি-র দল’ কেরল ব্লাস্টার্স বেশ শক্তিশালী ছিল এ বার। বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার ছিল ওদের দলে। ফলে সব দলই কেরলে গিয়ে খেলার আগে দু’বার ভেবেছে। তবে এ সবই টুর্নামেন্ট শুরুর আগের ছবি। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, ততই পারফরম্যানেস্র দিক দিয়ে হতাশ করেছে কেরল ব্লাস্টার্স।
আসলে প্রথম ম্যাচ থেকেই কেরলের স্ট্র্যাটেজি ছিল, কী হচ্ছে দেখার চেয়েও মাঠে নেমে মাঝমাঠ ও রক্ষণ ভাগের ‘শেপ’-টা দেখে নেওয়া। রক্ষণ করা মানেই যে রক্ষণের ‘শেপ’ বজায় রাখতে হবে তা নয়। বরং এর সঙ্গেই রক্ষণ এবং মাঝমাঠকে বিপক্ষের পা থেকে বলটা কেড়ে নিয়ে পাল্টা চাপ দিতে হয়। যেটা করতে পারেনি রেনে মিউলেনস্টিন-এর কেরল ব্লাস্টার্স। ফলে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স-কে। ডেভিড জেমস-কে এনে তাই কেরল সেইউ ভুলটা শুধরে নিতে চায়। কেরলের আপাত লক্ষ্য প্রথম চার দলেরক মধ্যে থেকে প্লে-অফ খেলা। তা ছাড়া জেমস এই দলটার সঙ্গে নতুন নয়। প্রথম বছর খেলে গিয়েছে। ফলে ট্যাকটিক্যাল সমস্যাগুলো দূর করে আশা করি কেরল ব্লাস্টার্স-কে স্বমহিমায় ফেরাতে পারবে।
জেমসের মতো নয় আবার আভ্রাম গ্র্যান্টের নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচের পদে বসে পড়ার নেপথ্য ঘটনা। গ্র্যান্টের কাজটা কিছুটা কঠিনই বলতে হবে। এমনিতেই এই দলটায় অভিজ্ঞ ভারতীয় ফুটবলার নেই। তার উপর ওদের বিদেশিরাও ফর্মে নেই। কিন্তু তার পরেও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী ওই আভ্রাম গ্র্যান্টের মতো বড়সড় কোচিং মস্তিষ্কের জন্যই। এতে ফুটবলাররা মানসিক ভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কখনও কখনও এই কারণেই একটা দল পারফরম্যান্সের শিখরে চলে যায়।