মেজাজে: অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন। মাঠের বাইরে এসে ম্যাসিওরের টেবলেও অবিচ্ছেদ্য ঋদ্ধিমান সাহা, চেতেশ্বর পূজারা। বিসিসিআই
বাইশ গজে তাঁরা একে অন্যের যোগ্য সঙ্গী হতে পারেন, কিন্তু মাঠের বাইরে ঋদ্ধিমান সাহা ও চেতেশ্বর পূজারা কিন্তু একে অন্যের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। শুনে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি।
রবিবার রাঁচীর জেএসসিএ স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’জনে মিলে ১৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে টেস্ট জয়ের কাছাকাছি এনে দেওয়ার পরে পূজারা নিজেই এই কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সাহা আর আমি কিন্তু একে অপরের কঠিন প্রতিদ্বন্দী। যখন আমরা ফিফা (ভিডিও গেম) খেলতে বসি, তখন।’’
ঋদ্ধি ও পূজারা অবসর সময়ে প্রায়ই একে অন্যের বিরুদ্ধে ‘ফিফা’ খেলেন। এই ব্যাপারে পূজারা ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে বলেন, ‘‘যখন আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে ফিফা খেলি, তখন আমিই ওকে চ্যালেঞ্জ করি যে তুই আমাকে হারাতে পারবি না। আমাদের মধ্যে কড়া মোকাবিলা হয়।’’
ক্রিকেট মাঠেও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা অনেকটা এখান থেকেই তৈরি হয়েছে বলে জানান পূজারা। বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভাল বলেই আমরা প্রায়ই ভাল পার্টনারশিপ খেলে দিই। যেমন ইরানি কাপেও তিনশোর উপর পার্টনারশিপ খেলেছিলাম আমরা। সেই বোঝাপড়াটা আমাদের আজ সাহায্য করেছে। তা ছাড়া মাঠের বাইরে আমরা ভাল বন্ধু বলেও একটা ভাল বোঝাপড়া আছে। গেমস খেলতে খেলতেও সেটা তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’
নিজের এই ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে পূজারা বলেন, ‘‘ডাবল সেঞ্চুরিগুলোর মধ্যে এটাই আমার সেরা। তবে প্রথম দিকে বেশ সমস্যা হয়েছিল। বিশেষ করে তৃতীয় দিন শুরুর দিকটা ব্যাট করতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। যত ইনিংস এগোল, তত সহজ হয়ে গেল।’’
উইকেটে টিকে থাকার জন্য বেশ কিছু প্রিয় শট তিনি মারতে পারেননি বলে জানান ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। বলেন, ‘‘উইকেটে টিকে থাকাটাই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য। যখন মুরলীর সঙ্গে ব্যাট করছিলাম, একদিকটা ধরে রেখেছিলাম। পছন্দের শটগুলো নিতে পারছিলাম। কিন্তু ও আউট হয়ে যেতেই আমার ওপর দায়িত্ব এসে পড়ল। নিজেকে বোঝালাম, আর পছন্দের শট খেলা যাবে না। এখন উইকেটে থাকাটাই আমার কাজ।’’
ঋদ্ধিমান ক্রিজে আসার পর ইনিংসটাকে অন্য ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে জানাচ্ছেন রাজকোটের তারকা ব্যাটসম্যান। বলেন, ‘‘ঋদ্ধির সঙ্গে আগেও বড় পার্টনারশিপ করেছি। তাই ওকে বললাম, স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে হবে আমাদের। উইকেটে থাকতে হবে দু’জনকেই। রানের দিকে বেশি নজর দেওয়া যাবে না। উইকেটে থেকে যা রান আসে আসবে। ঋদ্ধি সেটাই করা শুরু করল।’’ এ জন্য ঋদ্ধিমানকে ধন্যবাদও জানান পূজারা। বলেন, ‘‘ঋদ্ধি দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করল। ওকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।’’