শুরু হয়ে গিয়েছে ২১তম বিশ্বকাপ ফুটবল। মেসি-রোনাল্ডোরা তো রয়েছেনই। এই মহাতারকারা ছাড়াও এমন অনেক প্রতিভাবান তরুণ রয়েছেন, যাঁরা এ বারের বিশ্বকাপে নায়ক হয়ে উঠতে পারেন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জনকে। ছবি— গোটি ইমেজেস।
কিলিয়ান এমবাপে, ফ্রান্স: বিশ্বকাপে মেসি-রোনাল্ডোদের কাঁধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে অন্যতম এমবাপে। ফরাসি এই মিডফিল্ডার অনেক হিসাব বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
সের্গেজ মিলিনকোভিচ-স্যাভিচ, সার্বিয়া: সার্বিয়ার অন্যতম শক্তিশালী মিডফিল্ডার। তেইশ বছরের এই ফুটবলারটির সারা মাঠ জুড়ে খেলার ক্ষমতা রয়েছে। সার্বিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে ২০১৩ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নজর কেড়েছিলেন প্রথম বার।
হারভিং লোজানো, মেক্সিকো: দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ২০ এবং অনূর্ধ্ব ২৩-এ অন্যতম সফল। ২০১৬ সালে সিনিয়র দলে সুযোগ পান। পরবর্তীতে ফিফা বিশ্বকাপ যোগ্যতা নির্ধারণ ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে অন্যতম সফল।
মার্কো আসেনসিও, স্পেন: স্পেন ফুটবলের অন্যতম আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম ভরসার ফুটবলরাও বটে। ২০১৭ ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব ২১ চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর হ্যাটট্রিক বিখ্যাত হয়ে রয়েছে।
সাদিও মানে, সেনেগাল: লিভারপুলের এই ফুটবলারটির জাতীয় দলের হয়েও যথেষ্ট নজর কেড়েছেন। তবে, খবরের শিরোনামে উঠে আসেন ২০১৭-তে আফ্রিকান ন্যাশনস কাপের সময়। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করে সমালোচিত হয়েছিলেন।
ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন, ডেনমার্ক: মিডফিল্ডার হিসেবে নজর কাড়া সাফল্য রয়েছে। ছাব্বিশ বছরের ফুটবলারটি ২০১০ সালে প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পান। ২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক দলকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
ডেভিনসন সাঞ্চেজ, কলম্বিয়া: এ বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলে বিশেষ নজর থাকছে কলম্বিয়ার সাঞ্চেজের উপর। জাতীয় দলের বিরুদ্ধে এখনও তেমন ভাবে সুযোগ পাননি। যদিও এ বারের বিশ্বকাপে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
হাকিম জ়িয়েচ, মরোক্কো: এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৮টি। খেলার কৌশল এবং ফ্রি-কিকের ক্ষমতার জন্য অধিক পরিচিত।