চলতি বছরে এ সব ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপরে অনেক আশা ছিল। এদের মধ্যে কেউ জাতীয় দলে সুযোগও পেয়েছেন। আইপিএলে বিশাল দরও উঠেছিল কারও ক্ষেত্রে। কিন্তু সফল হননি তাঁরা। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েক জনকে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মূরলী বিজয়। কিন্তু তার পর আর সাফল্য সে ভাবে আসেনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট মিলিয়ে মাত্র ২৬ রান করেছিলেন বিজয়।
অস্ট্রেলিয়ায় চলতি সিরিজের চারটি ইনিংসে মোট ৪৯ রান করেছেন বিজয়। দল থেকে বাদ পড়েছেন। পৃথ্বী শ-ময়াঙ্ক আগরওয়ালদের মতো তরুণরা চলে আসায় দলে সুযোগ পাওয়া বেশ মুশকিল বিজয়ের।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি টেস্টে দুরন্ত কামব্যাক করলেও পরবর্তীতে খুব একটা সফল হননি অজিঙ্ক রাহানে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ইনিংসে মোট ২৫৭ রান করেন রাহানে।
চলতি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও এখনও পর্যন্ত দারুণ কিছু করে দেখাননি। আসন্ন বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মোট ৪৬৮ রান করেছেন লোকেশ রাহুল। গড় মাত্র ২১.২৭। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যর্থতায় ভুগেছে দল।
একদিনের ম্যাচে শিখর ধওয়ন বা রোহিত শর্মা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে সফল হওয়ায় তিনি খুব একটা সুযোগ পাননি। কিন্তু মিডর অর্ডারেও সফল হতে পারেননি লোকেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় দলের অন্যতম অঙ্গ ছিলেন জয়দেব উনাদকট। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে আগ্রহও ছিল প্রচুর। কিন্তু ২টি টি২০ ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র। ওভার প্রতি রান দিয়েছিলেন প্রায় ১০।
আইপিএলের নিলামে প্রচুর দর উঠেছিল তাঁর, কিন্তু সেখানেও ভাল ফল করতে পারেননি সৌরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটার। জাতীয় দলে ফের জায়গা পাওয়ার সুযোগ অত্যন্ত কম।
২০১৮ সালে ২০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২৭৫ রান করেছেন সব মিলিয়ে। ইনিংস পিছু গড় রান ২৫। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭১.৪৩।
ধোনি আইপিএলে ভাল খেলেছেন যদিও। তবে একদিনের ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে একেবারেই সফল নন। যদিও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে প্রাক্তন বিশ্বকাপারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইবেন হয়ত নির্বাচকরা।