সুভাষের প্রতিপক্ষ ভুটানের ঠান্ডা

কলকাতা লিগ শেষ হওয়ার প্রায় দু’মাস পরে মাঠে নামছে মোহনবাগান। সুভাষ ভৌমিকের দলের কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ভুটানের কনকনে ঠান্ডা। শনিবার কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ভুটানেরই ক্লাব ড্রুক ইউনাইটেডের সঙ্গে লড়াই সবুজ-মেরুনের। যারা শেষ দু’ম্যাচে আট গোল হজম করেছে। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষের থেকেও বাগান টিডি-কে ভাবাচ্ছে ভুটানের আবহাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৪১
Share:

কলকাতা লিগ শেষ হওয়ার প্রায় দু’মাস পরে মাঠে নামছে মোহনবাগান। সুভাষ ভৌমিকের দলের কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ভুটানের কনকনে ঠান্ডা।

Advertisement

শনিবার কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ভুটানেরই ক্লাব ড্রুক ইউনাইটেডের সঙ্গে লড়াই সবুজ-মেরুনের। যারা শেষ দু’ম্যাচে আট গোল হজম করেছে। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষের থেকেও বাগান টিডি-কে ভাবাচ্ছে ভুটানের আবহাওয়া।

শুক্রবারই সকালে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থিম্পুর টিম হোটেলে বসে সুভাষ বলেছেন, “ছেলেরা এখনও মানিয়ে নিতে পারেনি আবহাওয়ার সঙ্গে। হাতে সময়ও খুব কম। কলকাতা থেকে এসে মানসিক ভাবে এ রকম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আটচল্লিশ ঘণ্টা সময়টা কম।”

Advertisement

হাইতির হয়ে খেলার জন্য বাগানের প্রথম ম্যাচে দলে থাকবেন না সোনি নর্ডি। তবে ট্রায়াল দিতে আসা ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার অ্যালেক্স পেট্রোম্যানের অভিষেক হতে চলেছে। ড্রুক ইউনাইটেড দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও তাঁদের হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না সুভাষ। বলেছেন, “আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এটা সম্পূর্ণ নতুন একটা আবহাওয়ায় প্রথম ম্যাচ। ভুটানের ছেলেদের গতির অভাব নেই। ফুটবলে কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। আর যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময় গুরুত্বপূর্ণ।”

আঠারো জনের দলে চার জন বিদেশি নিয়ে গেলেও কিংস কাপের সংগঠকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তিন জনের বেশি বিদেশি ফুটবলারের রেজিষ্ট্রেশন করানো যাবে না এই টুর্নামেন্টে। যে প্রসঙ্গে সুভাষের দাবি, “ক্লাবকে পাঠানো নিয়মগুলো বুঝতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। আমরা ভেবেছিলাম নিয়ম হচ্ছে চার জন বিদেশি নিয়ে আঠারো জনের দল গড়া। খুব বড় ধাক্কা এটা। বারো জন ফুটবলারকে আইএসএলে ছাড়ার পরে বিদেশিরাই দলের শক্তি। এই ব্যাপারে সংগঠকদের আবেদন জানিয়েছি। আমি একদম খুশি নই। আগের থেকে জানলে আগাম চিন্তাভাবনা করতাম।”

এই অবস্থায় হয়তো দলকে তাতাতেই বাগান টিডি আগাম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তাঁর তরুণ ব্রিগেডকে। বলেছেন, “আমাদের অনেক নতুন ফুটবলার খেলতে চলেছে কিংস কাপে। আশা করছি ওরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে।”

টুর্নামেন্টের ‘ফেভারিট’ তকমা মোহনবাগানের গায়ে লাগলেও কোনও মতে আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছেন না সুভাষ। “আমাদের যা খ্যাতি আছে কোনও কারণ নেই কিংস কাপ না জেতার। আমি জানি গ্রুপে তিনটে ম্যাচ খেলতে হবে। জিততে পারলেই সেমিফাইনালে উঠবে দল। তবে এক-একটা ম্যাচ চিন্তা করে এগোতে চাই। মোহনবাগানের মতো টুর্নামেন্ট জেতার জন্যই খেলে। আর দেশের বাইরে টুর্নামেন্ট খেলায় ক্লাবের একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকে সব সময়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement