Vacation stress tips

নিজেকে না বদলালে ভ্রমণের আনন্দ মাটি হতে পারে! ঘুরতে গিয়ে ৫ স্বভাব হইতে সাবধান

ঘুরতে গিয়েও মনের মধ্যে উদ্বেগ দানা বাঁধতে পারে। ছুটির দিনের আনন্দ যাতে মাটি না হয়, তার জন্য নিজের স্বভাবে কয়েকটি পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৮:৪৯
Share:

প্রতীকী চিত্র। ছবি: শাটারস্টক।

কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কয়েক দিনের ছুটি বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই। সেখানেই ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একঘেয়ে জীবনের রুটিন বদলে যায় ছুটি কাটানোর সময়ে। মন থাকে ফুরফুরে, নিয়মের বেড়াজাল থাকে না। কিন্তু কয়েকটি অভ্যাস বা স্বভাব ছুটি কাটানোর দিনগুলিও মাটি করতে পারে। ভ্রমণও হয়ে উঠতে পারে মানসিক দিক থেকে ক্লান্তিকর। ভ্রমণের সুখস্মৃতি তৈরির জন্য তাই কয়েকটি প্রবণতা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসা উচিত।

Advertisement

১) অধিক পরিকল্পনা: সফরসূচিতে একাধিক লক্ষ্যকে জায়গা দিলে, শরীরে ক্লান্তি বাসা বাঁধে। ভ্রমণের প্রতিটি দিন এবং মুহূর্ত ঘুরে বেড়ানো সম্ভব না-ও হতে পারে। তার জন্য মনখারাপ করার প্রয়োজন নেই। বরং পরিবর্তে একটা দিন নিজের মতো করে কাটানো যেতে পারে। শরীরও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাবে। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণের শেষ দিনটি খালি রাখা উচিত। একই ভাবে পরিকল্পনাহীন ভাবেও কোনও গন্তব্যে যাওয়া উচিত নয়। তার ফলেও মনের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

২) খাবার না খাওয়া: ঘুরতে গিয়ে দর্শনীয় স্থানে যেতে হবে, কেনাকাটা করতে হবে, এ সব ভেবে সময় বাঁচাতে অনেকেই খাবার খান না। কিন্তু বুঝতে হবে, মন ভাল করার জন্যই আমরা ঘুরতে যাই। সেখানে খাবার না খেলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না। ফলে মনের উপরেও তার প্রভাব পড়বে। ঘুরতে গিয়ে নিকটজনের সঙ্গে সামান্য খারাপ আচরণও ভ্রমণের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে।

Advertisement

৩) কাজের কথা মাথায় রাখা: নিজেদের পেশা থেকে ছুটি নিয়েই আমরা ভ্রমণে বেরোই। সেখানে গিয়ে কাজের খোঁজ রাখা উচিত নয়। যেমন অফিসের হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ দেখা বা ইমেল দেখা। হতেই পারে অফিসের কোনও সমস্যা আপনার মনকে বিচলিত করতে পারে। তখন ছুটি কাটানোর মনোভাব নষ্ট হতে পারে। তাই ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পরেই অফিসের কাজে মনোনিবেশ করা উচিত।

৪) তুলনামূলক আলোচনা: আত্মীয় বা বন্ধুরাও ঘুরতে যান। কিন্তু অনেকেরই প্রবণতা থাকে অন্যের ভ্রমণের সঙ্গে নিজের তুলনা করা। তার ফলে আরও বেশি করে মনের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। ধরা যাক, আপনি যেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন, সেখানে ভাল হোটেলে আগে কোনও পরিচিত থেকেছেন। আপনার বাজেট না থাকলে অন্য হোটেলেও থাকা যায়। তাতে ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয় না। গোয়া এবং মন্দারমণির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু মনের মধ্যে সমুদ্রসৈকত প্রাধান্য পেলে ভ্রমণ ভাল হবে।

৫) অন্যদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া: অনেক সময়েই কেউ বন্ধু বা একটি বড় দলের অংশ হিসেবে ভ্রমণ করেন। এ ক্ষেত্রে শুধুই নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে বিপদ উপস্থিত হতে পারে। তার ফলেও খারাপ পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারেন যে কেউ। তাই গন্তব্য, হোটেল, খাওয়াদাওয়া, গাড়ি ইত্যাদি বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাকিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement