Travel scams safety

পর্যটনকেন্দ্রে সক্রিয় প্রতারণাচক্র! পরবর্তী ভ্রমণের আগে ৭টি ফাঁদ সম্পর্কে জেনে নিন

পর্যটনকেন্দ্রে ছড়িয়ে থাকে নানা প্রতারণাচক্র। তাদের ফাঁদে পা দিলেই খসতে পারে মোটা টাকা। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১০:১৫
Share:

প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভ্রমণের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে হোটেল, ট্রেন বা বিমানের টিকিট বাড়ি বসেই কেটে নেওয়া যায়। কিন্তু গন্তব্য পৌঁছে পর্যটককে নানা ধরনের খরচ করতে হয়। তার মধ্যে গাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সাইট সিইং, বিদেশি মুদ্রা বিনিময়— বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে একদল অসাধু ব্যবসায়ী পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। তাই সময় থাকতেই সেই প্রতারণার ধরন সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কী কী করা উচিত এবং কী কী করা উচিত নয়, তা জানা থাকলে নতুন জায়গায় পা রাখার পর সমস্যায় পড়তে হবে না। সারা বিশ্বে পর্যটকদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করা হয়। তার মধ্যে কয়েকটি জেনে রাখা উচিত।

Advertisement

১) ট্যাক্সির মিটার: যে সমস্ত গন্তব্যে মিটারে ট্যাক্সি চলে, সেখানে চালক মিটার খারাপ দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো ভাড়া নিতে পারেন।

কী করবেন: এ রকম ক্ষেত্রে আগে থেকে ভাড়া জেনে নেওয়া উচিত। সমস্যা হলে অ্যাপ ক্যাব বুক করা যেতে পারে। অনেক সময়ে প্রি-পেড ট্যাক্সি নিলেও সুবিধা হয়।

Advertisement

২) ট্যুর গাইড: দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য স্থানীয় গাইডেরা অনেক সময়েই সাহায্যের বাহানায় পর্যটকদের দায়িত্ব নেন। তার পর কেনাকাটার জন্য তাঁদের পছন্দের দোকানে নিয়ে যান। পর্যটকেরা সেখান থেকে কিছু কিনলে ওই গাইডেরা কমিশন পান।

কী করবেন: সব সময়ে সরকারি সংস্থা থেকে গাইড বুক করা উচিত। প্রয়োজনে তাঁদের লাইসেন্স যাচাই করে নেওয়া উচিত। সরকারি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার গাইডদের পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট থাকে। ফলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৩) চুরি থেকে সাবধান: কেউ আপনাকে ধাক্কা দিল। তার সঙ্গে বচসায় জড়ালেন। পরে খেয়াল করলেন, হাতের ব্যাগ বা টাকার ব্যাগ গায়েব। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে হামেশাই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হন অনেকে। নেপথ্যে কাজ করে বড় কোনও চক্র।

কী করবেন: দর্শনীয় স্থানে কোনও লকারের সুবিধা না থাকলে, সঙ্গের মূল্যবান জিনিস সাবধানে রাখা উচিত। প্রয়োজনে হোটেলের লকারে দামি জিনিস রেখে আসা উচিত।

৪) মূল্যবান রত্ন: পর্যটনকেন্দ্রে এমন বহু দোকান রয়েছে, যেখানে মূল্যবান রত্নের নামে নকল জিনিস বিক্রি করা হয়। ঘুরতে গিয়ে দামি পাথর-রত্ন না কেনাই ভাল।

কী করবেন: যদি কিনতেই হয়, তা হলে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

প্রতীকী চিত্র।

৫) নকল পুলিশ: অনেক সময়ে পর্যটনকেন্দ্রে সামান্য কোনও কারণ (গাড়ি পার্কিং, প্রকাশ্যে ধূমপান ইত্যাদি) দর্শিয়ে নিজেদের পুলিশ বলে জরিমানা আদায় করেন কেউ কেউ। বিদেশে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।

কী করবেন: ভয় না পেয়ে ঠান্ডা মাথায় ওই ব্যক্তির সরকারি পরিচয়পত্র চাইতে হবে। যদি সত্যিই কোনও কারণে জরিমানা হয়, তা হলে চালানের কাগজ যাচাই করে নেওয়া উচিত। রসিদ ছাড়া টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৬) মুদ্রা বিনিময়: বিদেশে ঘুরতে গিয়ে প্রায়শই মুদ্রা বিনিময়ের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বিনিময় মূল্য নিয়ে প্রতারণা করা হয়। অনেক সময়ে খুচরো টাকা গোনার সময়ে পর্যটকদের কম টাকা দেওয়া হয়।

কী করবেন: বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করতে হলে সেই দেশের অনুমদিত সংস্থা থেকে করানো উচিত। ইন্টারনেটে সেই দিনের মুদ্রার বিনিময়মূল্য যাচাই করে নেওয়া উচিত। টাকা হাতে এলে, তা দু’-তিন বার ভাল করে গুনে নেওয়া উচিত।

৭) গাড়ি খারাপ: গোয়া বা দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় পর্যটকেরা কম টাকায় নিজেদের জন্য গাড়ি বা মোটরবাইক ভাড়া করতে পারেন। কিন্তু সেগুলি ফেরত দেওয়ার সময় নানা অজুহাতে (বেশির ভাগ সময়ে গাড়ির ক্ষতি হয়েছে দাবি করা হয়) বেশি টাকা দাবি করা হয়।

কী করবেন: বড় কোনও সংস্থার থেকে গাড়ি বুক করা উচিত। বাইক বা গাড়ি নেওয়ার আগে সংস্থার শর্তগুলি জেনে নিতে হবে। বেশি টাকা চাইলে যে কারণ দেখানো হচ্ছে, তার সপক্ষে প্রমাণের দাবি করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement