Winter Trekking Place

বরফ ঢাকা উপত্যকা নিবিড় ভাবে উপভোগে শীতে চলুন ট্রেকে, কোন জায়গাগুলি তালিকায় রাখা যায়?

বরফের মধ্যে দিয়ে ট্রেক করার আনন্দই আলাদা। এমন রোমাঞ্চের শখ থাকলে এই শীতে কোন কোন ট্রেকিং রুট নিয়ে ভাবতে পারেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৮
Share:

বরফের রাস্তায় ট্রেকিং। এই শীতে এমন কোন পথ বেছে নেবেন? ছবিটি দায়রা-বুগিয়াল ট্রেকিংয়ের। ছবি: শাটারস্টক।

রোপওয়ে চড়ে পাহাড়ের মাথায় পৌঁছে বরফের চাদরে গড়াগড়ি খাওয়া কিংবা গাড়ি চড়ে বরফে মোড়া উপত্যকায় পৌঁছনো এক অভিজ্ঞতা। যদি বরফের রাস্তায় হেঁটে যেতে হয় দীর্ঘ পথ, জিরিয়ে নিতে হয় বরফের কোলেই, তবে কেমন হয়?

Advertisement

‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে বরফাবৃত উপত্যকায় এক ঝাঁক তরুণ মুখের ট্রেকিং, বন্ধুত্বের গল্প, প্রেম দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। সেই দৃশ্যই যদি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, তবে আগামী শীতে নিজের ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থা পাকা করে নিতে পারেন।

দায়রা-বুগিয়াল

Advertisement

উত্তরাখণ্ডে গাড়োয়াল হিমালয় যখন তুষারে ঢাকে, তখন দায়রা-বুগিয়াল ট্রেকিং করার অভিজ্ঞতা আজন্ম মনে রয়ে যেতে পারে। একেবারে সহজ স্তরের ট্রেকিংয়ে একে ফেলা যায় না। বিশেষত প্রবল শীতে ট্রেক করতে গেলে, ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। দেহরাদূন থেকে শুরু করে দেহরাদূন ফিরতে দিন চারেক বা পাঁচ দিন সময় লাগবে। ১২ হাজার ফুট উচ্চতার এই ট্রেকিংপথের অন্যতম আকর্ষণ হল সুবিস্তৃত তৃণভূমি। ঋতুভেদে তার সৌন্দর্য আলাদা। শীতে অবশ্য, তৃণভূমি ঢেকে যায় বরফে। ট্রেকিংপথের বিভিন্ন স্থান থেকে দৃশ্যমান হয় কালা নাগ, গঙ্গোত্রী রেঞ্জ-সহ একাধিক তুষারাবৃত পর্বতশৃঙ্গ।

দেহরাদূন থেকে গাড়িতে নাতিন গ্রাম। সেখান থেকে শুরু হয় ট্রেক। প্রথম দিনে গুই ক্যাম্পসাইট। দ্বিতীয় দিন গুই থেকে বুগিয়াল ট্রেক করে আবার ফেরা। এই পথে ট্রেক করে চার দিনেই আবার ফেরা যায় দেহরাদূন।

আবার রাইথাল গ্রাম থেকেও ট্রেকিং শুরু করা যায়। দেহরাদূন থেকে রাইথাল পৌঁছতে এক দিন। দ্বিতীয় দিন রাইথাল থেকে গুই ক্যাম্পসাইট। তৃতীয় দিন গুই থেকে দায়রা বুগিয়াল টপ হয়ে ফেরা। চতুর্থ দিন রাইথাল। পঞ্চম দিনে দেহরাদূন।

কেদারকণ্ঠ

কেদারকণ্ঠের পথটিও সুন্দর। এমনই বরফাবৃত জায়গায় পৌঁছতে পারবেন এই পথে হেঁটে। ছবি: শাটারস্টক।

ডিসেম্বরে কেদারকণ্ঠ ট্রেকিংয়ে গেলে পাবেন বরফের চাদর। হিমালয়ের রূপ আবিষ্ট করে তুলবেই। ট্রেকিংয়ের পূর্ব-অভিজ্ঞতা এবং ফিটনেস, দুই-ই থাকলে এই ট্রেকে তেমন বেগ পেতে হবে না। দেহরাদূন থেকে ৭ ঘণ্টা দূরে রয়েছে সাঙ্করি গ্রাম, সেখান থেকেই সাধারণত শুরু হয় ট্রেকটি। দিন চারকের ট্রেকিং। তবে ডিসেম্বরে বরফের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলে, প্রবল ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে হবে। শীতে এখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেই থাকে সাধারণত। এই ট্রেকে দর্শনীয় বান্দরপুছ-সহ হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ। প্রথম দিনে সাঙ্করি থেকে জুডাকা। পাইন-ওকের বনভূমির মধ্যে দিয়ে রাস্তা। পথে পড়বে জুডা কা তালাও নামে হ্রদ। শীতে তা জমে যায়। জুডা কা তালাও থেকে পরের দিন কেদারকণ্ঠ বেস ক্যাম্প। সেখান থেকে পরের দিন কেদারকণ্ঠ চূড়া। এখান থেকে হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ দেখা যায়।

সান্দাকফু

সান্দাকফু যাওয়ার পথে বিভিন্ন গ্রাম থেকে এমনই পড়ন্ত বিকেলের সাক্ষী হতে পারেন। ছবি:শাটারস্টক।

পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপাল সীমান্ত বরাবর অবস্থিত সান্দাকফু। ডিসেম্বরের পরে ট্রেক করলে বরফাবৃত পথের সঙ্গী হওয়া যায়। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে পথ এগিয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা, এভারেস্ট-সহ হিমালেয়র একাধিক শৃঙ্গ এই ট্রেকিং রুটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখতে পাওয়া যায়। কেউ মানেভঞ্জন, কেউ আবার ধোত্রে থেকেও ট্রেকিং করেন। মানেভঞ্জন থেকে প্রথম দিনে পৌঁছতে হয় টুমলিং। দ্বিতীয় দিন টুমলিং থেকে গৈরিবাস, কালিপোখরি। তৃতীয় দিন কালিপোখরি থেকে সান্দাকফু। চতুর্থ দিন ফালুট। ফালুট থেকে শ্রীখোলা হয়ে নামা যায়। ফালুট না গিয়ে সান্দাকফু থেকেও শ্রীখোলা চলে আসতে পারেন। ধোত্রে থেকে টংলু এবং টুমলিং হয়েও ট্রেক করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement