ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
২৪ ঘণ্টায় প্রায় কুড়ি বার চা খাওয়ার অভ্যাস ছিল বৃদ্ধার। এক-আধ চামচ না, চায়ের সঙ্গে চার চামচ চিনি না হলে মন ভরত না তাঁর। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস তাঁর স্বাস্থ্যকে ক্রমাগত ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। সঙ্গে হু হু করে বাড়ছিল ওজন। এমন অবস্থা তৈরি হয় যে বৃদ্ধার গায়ে কোনও পোশাক আঁটছিল না। লোকলজ্জায় বাইরেও বেরোতে পারতেন না ওই বৃদ্ধা। তার পর একটি কঠোর সিদ্ধান্তই তাঁর জীবনকে আমূল পাল্টে দিল। ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে হয়ে উঠলেন ষাটোর্ধ্ব মহিলা।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের ৬১ বছর বয়সি সুজ়ান গার্নারের প্রতি দিন ২০ কাপ পর্যন্ত চা খাওয়ার অভ্যাস ছিল। প্রতি কাপ চায়ে চার চা চামচ চিনি পড়ত। সপ্তাহে ১৪০ কাপ চা খেতেন তিনি। প্রতি তিন দিনে প্রায় এক কেজি চিনি খরচ হত তাঁর। ফলস্বরূপ, তাঁর ওজন প্রায় ৯৪ কেজি পর্যন্ত বেড়ে যায়। অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠায় পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে ছোটেন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে খিদে এবং ওজন কমানোর জন্য একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া শুরু করেন। যদিও সুজ়ান প্রথমে তাঁর খিদেয় কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করেননি। প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৩ কেজি ওজন কমতেই তিনি অবাক হয়েছিলেন। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে প্রতি দিন ১০ হাজার পা হাঁটা অভ্যাস শুরু করেন বৃদ্ধা। দিনে ২ লিটার জল খেতেন। প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় পাঁচ বার ফল বা সব্জি ছিল।
তবে কাপের পর কাপ চা খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারেননি এই বৃদ্ধা। চায়ে চিনির বদলে কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়া শুরু করে দেন। আট মাসের মধ্যে প্রায় ৩৮ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি ৫৭ কেজিতে নেমে আসেন। তাঁর আগে সকালের খাবার ছিল দু’টুকরো পাউরুটি, জ্যাম এবং চিনি সহযোগে দু’কাপ চা। তার পর সারা দিনে চলত বিস্কুট, কেক এবং ১৮ কাপ চা। সেই রুটিন এখন বদলে গিয়েছে। সারা দিনে মেপে মেপে খাবার খেয়েই ওজন কমিয়ে ফেলেছেন সুজ়ান বলে দাবি।