—প্রতীকী ছবি।
গর্ভে যে সন্তান রয়েছে তা সাত মাস ধরে টের পর্যন্ত পাননি তরুণী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফুটবল ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। হঠাৎ করে তলপেটে চাপ অনুভব করেন তিনি। শৌচাগারের দিকে ছুটে যান। কিছু ক্ষণ পরে, তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর প্রসববেদনা শুরু হয়েছে। শিশুর মাথা বেরিয়ে আসতে দেখেন তরুণী। শার্লট রবিনসন নামে ২৯ বছর বয়সি তরুণী ইংল্যান্ডের একটি ফুটবল মাঠের শৌচাগারে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৪ অগস্ট, কার্কলি এবং প্যাকফিল্ড ফুটবল ক্লাবের একটি ম্যাচ দেখতে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে মাঠে যান শার্লট। শার্লটের দাবি, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন না তিনি। ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর শরীরে কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। পেটে কোনও আঘাত বা নড়াচড়া অনুভব করেননি তিনি। এমনকি তিনি সম্প্রতি লন্ডনে বেড়াতেও গিয়েছিলেন। স্বাভাবিক রুটিন মেনে অফিস যাতায়াতও করছিলেন শার্লট।
সদ্যোজাত পুত্রের নাম হেনরি রেখেছেন শার্লট ও তাঁর স্বামী ম্যাকাওলে। সন্তানপ্রসবের পর শার্লট দুর্বল হয়ে পড়ায় স্বামী বা শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। লোকমুখে শুনে ম্যাকাওলে ও তাঁর মা শৌচাগারের সামনে হাজির হন। তোয়ালে বা কম্বল না পাওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে একটি ফুটবল শার্ট দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্স না আসা পর্যন্ত এক জন প্যারামেডিক প্রসূতি ও সদ্যোজাতের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২,৫০০ জন্মের মধ্যে ১ জন অন্তঃসত্ত্বা ‘রহস্যময় গর্ভাবস্থা’র শিকার হন। সন্তানধারণের কোনও লক্ষণই ফুটে না তাঁদের শরীরে। কখনও কখনও প্রসববেদনা পর্যন্ত ওঠে না। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল কানাডায়। এক ব্রিটিশ মহিলা বেড়াতে গিয়ে সন্তান জন্ম দেন। হেলেন গ্রিন নামের ৪৫ বছরের তরুণী ১০ দিনের জন্য ছুটি কাটাতে এসে সন্তান প্রসব করেন। হেলেন জানতেন না যে তিনি ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।