—প্রতীকী ছবি।
১০ বছরের দাম্পত্য। দীর্ঘ এক দশক ধরে স্ত্রীর কাছে এক ভয়ঙ্কর সত্য গোপন করে গিয়েছেন স্বামী। বিয়ের পর পরই স্ত্রী লক্ষ করেন যে, স্বামী প্রতি দিনই লাল রঙের একটি ওষুধ খান। স্বামীকে প্রশ্ন করায় উত্তর পেয়েছিলেন যে এই ওষুধটি লিভার ভাল করার জন্য। স্ত্রীও ভেবেছিলেন দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগে ভুগছেন তাঁর স্বামী। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর ভুল ভাঙে। প্রকাশ্যে আসে স্বামীর ভয়ানক এক রোগের ইতিহাস।
সম্প্রতি চিনের ইউনানের এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘটনাটি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগারের কর্মীরা তাঁর স্ত্রীকে এইচআইভি (এইডস) ওষুধের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। এই কথা শুনে হতবাক হয়ে যান স্ত্রী। স্বামীকে চেপে ধরতেই তিনি জানান, ২০১১ সালেই এইচআইভি ধরা পড়েছিল। বিয়ের পর ১০ বছর কেটে গেলেও তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে এই তথ্য গোপন রেখেছিলেন। সেই বছরই এই দম্পতির প্রথম সাক্ষাৎ হয়। কয়েক মাস পরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জনে।
বিয়ের পর ওই ব্যক্তিকে বিশেষ লাল রঙের ওষুধটি খেতে দেখে স্ত্রী কৌতূহলী হন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন লিভারের সমস্যার জন্য এক দশক ধরে প্রতি দিন ওষুধ খান। সরল বিশ্বাসে স্বামীর কথা মেনে নিয়েছিলেন ওই মহিলা। পরে জেল কর্তৃপক্ষের কথা শুনে নিজের কানকেও বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি তিনি। স্বামীর কাছে কৈফিয়ত চাইতে গেলে তাঁর যুক্তি ওষুধ খেয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। সেই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী।
তিনি চিন্তিত ছিলেন। কারণ বিবাহের প্রথম দিকে তাঁরা অসুরক্ষিত যৌনজীবন যাপন করেছিলেন। তাতে তাঁর সংক্রমণের আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। স্বামীর কীর্তি জানতে পেরে তক্ষুনি নিজের এইচআইভি পরীক্ষা করান ওই মহিলা। যদিও সেই পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলাফল আসে। মানসিক যন্ত্রণায় কাটানোর পর এই ধাক্কা সামলাতে সম্প্রতি স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেন স্ত্রী। স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। ইউনান আদালত স্ত্রীর পক্ষে রায় দেয়।