ছবি: সংগৃহীত।
স্কুটির পিছনে বসা যাত্রীর মাথায় ছিল না হেলমেট। যিনি চালাচ্ছিলেন তাঁর মাথায় অবশ্য হেলমেট ছিল। দুই জাপানি পর্যটকের এক জন হেলমেট না পরায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। নগদে জরিমানার টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে কর্তৃপক্ষ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই জাপানি পর্যটককে হেলমেট না পরে দু’চাকার গাড়ি চালানোর জন্য গুরুগ্রামের দু’জন ট্রাফিক পুলিশ ১ হাজার টাকা জরিমানার দাবি জানাচ্ছেন। স্কুটারটি এক মহিলা চালাচ্ছিলেন। তিনি হেলমেট পরেছিলেন। পিছনের আরোহী হেলমেট পরেননি। ভিডিয়োয় এক জন পুলিশ আধিকারিকে বিদেশি পর্যটকদের বলতে শোনা যাচ্ছে যে, এই অপরাধের জন্য তাঁদের জরিমানা হিসাবে এক হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর পর পুলিশকর্মী জানতে চান তিনি নগদে টাকা দেবেন না আদালতে টাকা জমা করতে চান। উত্তরে স্কুটার আরোহী জানান, তিনি স্পর্শহীন কার্ডের (ভিসা টাচ) মাধ্যমে টাকা দিতে চান। পুলিশকর্মী জানান এই ধরনের কার্ডের সেই সুবিধা তাঁদের যন্ত্রটিতে পাওয়া যাবে না। ফলে বাধ্য হয়েই নগদে জরিমানার টাকা দিয়ে দেন বিদেশি পর্যটকেরা। জরিমানার কোনও রসিদ তাঁদের দেওয়া হয় না।
ট্রাফিক নিয়ম অনুসারে, হেলমেট না পরা আরোহীর জন্য জরিমানা ১ হাজার টাকা। তবে, জরিমানা পরিবহণ অ্যাপ বা পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিশোধ করার কথা। কেউ যদি ঘটনাস্থলেই জরিমানা পরিশোধ করতে চান, তাহলে পুলিশকে নিম্নলিখিত দু’টি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। কার্ড বা ইউপিআই পেমেন্টের জন্য একটি পয়েন্ট অফ সেল মেশিন সরবরাহ করতে হবে। অন্যটি ই-চালান মেশিন ব্যবহার করে একটি মুদ্রিত রসিদ প্রদান করতে হবে। এই ক্ষেত্রে, কোনও পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়নি।
ভিডিয়োটি ‘সানি পাণ্ডে’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৮ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে প্রচুর প্রতিক্রিয়া জানান নেটাগরিকেরা। ভিডিয়োর নীচে উত্তর দিয়েছে গুরুগ্রাম পুলিশ। তারা জানিয়েছে এই ঘটনায় তিন জন পুলিশকর্মীকে নিলম্বিত করা হয়েছে।