—প্রতীকী ছবি।
যোগব্যায়ামের ক্লাস চলছিল। সাত জন অংশগ্রহণকারী যোগাভ্যাসের শেষে ক্যাফের মেঝেয় শুয়ে শবাসন অনুশীলন করছিলেন। ছিলেন এক জন প্রশিক্ষকও। এমন সময় ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। ক্যাফেতে ছুটে এল একদল পুলিশ। পুলিশকর্মীরা দেখেন, সাত জন কম্বল গায়ে মেঝেয় শুয়ে রয়েছেন নিস্পন্দ হয়ে। পুলিশ জানায়, তাদের কাছে ফোন করে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এর পর প্রশিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙে পুলিশের। ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের সিসকেপ ক্যাফেতে ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে।
সম্প্রতি বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে এসে সে দিনের সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন যোগ প্রশিক্ষক মিলি লস। তিনি জানান, সে দিন সন্ধ্যাবেলা ক্যাফেতে যোগব্যায়াম ক্লাসে অংশগ্রহণকারীরা মেঝেয় শুয়ে শবাসন অনুশীলন করছিলেন। এটি যোগব্যায়াম পর্বের শেষে বিশ্রামের অংশ। মিলি লক্ষ করেন কাচের জানলা দিয়ে দু’জন ব্যক্তি তাঁদের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছেন। বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিলি ব্যাখ্যা করেন, তাঁর ছাত্রছাত্রীরা কম্বল জড়িয়ে শুয়ে ছিলেন। সকলের চোখ ছিল বন্ধ। সেখানে ছিল চাপা অন্ধকার। কেবল মোমবাতি জ্বলছিল এবং ছোট ছোট আলো দিয়ে ঘরটি সাজানো ছিল। মিলি সেই সময় তাঁর একটি বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিলেন।
মিলি দেখেন, কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরোনো এক দম্পতি তাঁদের কিছু ক্ষণ নিরীক্ষণ করে দ্রুত পায়ে সেখান থেকে সরে গেলেন। তার পরই হুড়মুড় করে ক্যাফেতে ঢুকে পড়েন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ মিলিকে জানায়, কেউ তাদের ফোন করে জানিয়েছে ক্যাফেতে এক জন হত্যাকারী লুকিয়ে রয়েছে। মেঝেয় শুয়ে থাকা ব্যক্তিরা মৃত বলেও পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে সকলকে আশ্বস্ত করেন যে ক্যাফের পরিবেশ শান্ত। সেখানে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেনি। সেই ঘটনার পর ক্যাফে কর্তৃপক্ষও সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘‘সন্ধ্যায় নিয়মিত যোগব্যায়াম ক্লাস করানো হয় এখানে। ভুল বোঝাবুঝি থেকে অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এখানে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মকে অনুমোদন দেওয়া হয় না।’’