ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীন সেনানী এক্সপ্রেসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ধোপদুরস্ত পোশাক পরে বহাল তবিয়তে শুয়ে রয়েছেন এক তরুণ। রেলের সহকারী বিভাগীয় ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে টিকিট পরীক্ষকের কাছে চা-বিস্কুটের ফরমায়েশও করছিলেন। অলোক কুমার ঝা নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। রেলের ম্যানেজার শুনে টিকিট পরীক্ষকও মাথা নিচু করে হুকুম তামিল করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। পরে রেলের রক্ষীদের কাছে আসে একটি অদ্ভুত তথ্য। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
জানা যায়, রেলের উচ্চপদস্থ কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ওই তরুণ রেলে ভ্রমণ করছিলেন। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। ‘সমস্তিপুর টাউন’ নামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকেও এই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ট্রেনটি দারভাঙায় পৌঁছোনোর সঙ্গে সঙ্গেই রেলপুলিশ, মুখ্য টিকিট পরীক্ষক ও কয়েক জন টিকিট পরীক্ষকের দল ট্রেনটিতে তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে এডিআরএম অলোক ঝা বলে দাবি করেন। তার পর দাবি করেন, তিনি এডিআরএম অলোক ঝার ভাগ্নে। রেলরক্ষীদের জেরার মুখে অবশেষে তিনি তাঁর আসল নাম প্রকাশ করেন। তাঁর নাম দুর্গাকান্ত চৌধরি। কোনও বৈধ টিকিট বা রেলের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না তাঁর কাছে। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী তিনি। দারভাঙার মুখ্য টিকিট পরীক্ষক চন্দেশ্বর রাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রেলের আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।