ছবি: সংগৃহীত।
কথায় আছে প্রভুর জন্য প্রাণ বির্সজন দিতে পিছপা হয় না পোষা কুকুর। সেই প্রবাদের সত্যতা মিলল উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে। স্থানীয় একটি পরিবারের দু’টি পোষা কুকুর আনুগত্য এবং সাহসিকতার এমন উদাহরণ তৈরি করেছে যা ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। বিষধর গোখরো বাড়িতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতেই তা চোখ এড়ায়নি দুই পোষ্যের। তেড়ে আসে সেই বাড়ির মালিকের পোষ্য দুই সারমেয়। সাপটিকে তাড়িয়ে বাড়ির বাইরে এনে মরণপণ লড়াই চালায় একটি জার্মান শেফার্ড। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের সূত্রে খবর, মির্জাপুরের চানবে ব্লকের বাবুরা গ্রামের বাসিন্দা রানা সিংহের পরিবারের দুটি পোষা কুকুর ছিল। বাদল এবং গ্রেস। রানার বাড়িতে একটি মারাত্মক বিষধর গোখরো ঢুকে পড়ে। সাপটিকে দেখে তাড়া করে দু’টি পোষ্যই। বাদল নামের জার্মান শেফার্ডটি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে সাপটিকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। বিষাক্ত সাপের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতেই দু’বার ভাবেনি বাদল। মাঠের মধ্যে চলে সাপ ও সারমেয়র ধুন্ধুমার লড়াই। সাপটিকে নিকেশ করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাদলও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মারা যাওয়ার আগে বাদলের শরীরে পর পর ছোবল বসিয়ে দিয়ে যায় গোখরোটি। সেই ঘটনারই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডলে এক সাংবাদিকের ‘খুশবুজার্নো’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। হইচই পড়েছে কুকুরটির কার্যকলাপে। ভিডিয়োটি দেখে এক দিকে যেমন কুকুরটির সাহসের ও প্রাণ বিসর্জনের প্রশংসা করেছেন অনেকে, তেমনি অন্য দিকে যাঁরা ভিডিয়োটি রেকর্ড করছিলেন তাঁদের সমালোচনা করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, যাঁরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাপ ও কুকুরের লড়াইয়ের ভিডিয়ো তুলছিলেন তাঁরা চাইলেই কুকুরটির প্রাণ বাঁচাতে পারতেন।