—প্রতীকী ছবি।
পারিশ্রমিক ছাড়াই এক বেসরকারি সংস্থায় অবৈতনিক কর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন এক তরুণী। তিন দিন পর অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান রয়েছে। তা নিয়েই অফিসের কর্মীরা ব্যস্ত। কিন্তু হঠাৎ করেই তরুণীর বাবা-মা অসুস্থ হয়ে যান। অসুস্থ বাবা-মায়ের শুশ্রূষা করবেন বলে অফিসে ছুটির আবেদন করেছিলেন তরুণী। কিন্তু তা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তরুণীর বস্।
তরুণীকে কড়া কথা শোনাতেও ছাড়েন না তিনি। তরুণীকেই তাঁর বসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় তরুণী এবং তাঁর বসের চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়েছে। সেই চ্যাটে ফুটে উঠেছে এক তরুণী এবং তাঁর ঊর্ধ্বতনের কথোপকথন। তরুণীর বাবা-মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। সে কারণে তরুণী অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ির পরিস্থিতি জানিয়ে বসকে মেসেজ করেন তিনি। তরুণী যে আগাম না জানিয়ে হঠাৎ করে ছুটি নিচ্ছেন তার জন্য সৌজন্য রক্ষার্থে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। কিন্তু তরুণীর প্রতি তাঁর ঊর্ধ্বতন যান চটে।
অফিসের একটি বড় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা তিন দিন পর। এই সময় অফিসে প্রচুর কাজ। তরুণী কী ভাবে এই সময় ছুটি নিয়ে ফেললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর বস্। তরুণী বার বার তাঁর পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন ঊর্ধ্বতনকে। তাঁর বাবা-মা যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাঁদের বাড়িতে একা ফেলে অফিস যাওয়া তরুণীর পক্ষে সম্ভব নয়— সে কথা বার বার বস্কে বলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হল না। তরুণীকে ‘অপেশাদার’ তকমা দিয়ে ফেললেন তাঁর ঊর্ধ্বতন।
ছবি: সংগৃহীত।
অথচ, সেই তরুণী নাকি অফিসে পাকাপাকি ভাবে কাজও করেন না। সেই সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করেন তিনি। কাজের বিনিময়ে কোনও বেতনও পান না তরুণী। শিক্ষানবিশ অবৈতনিক কর্মী তাঁর বাবা-মায়ের অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছেন বলে তাঁকে কড়া কথা শোনান ঊর্ধ্বতন। বাধ্য হয়ে তরুণী ক্ষমাপ্রার্থনা করে জানান যে, আগামী দিন সঠিক সময়ে অফিসে ঢুকে পড়বেন তিনি। এমনকি, ছুটি নিলেও রাতের মধ্যে নিজের ভাগের কাজটুকু সেরে ফেলবেন তিনি।