—প্রতীকী ছবি।
ইউক্রনীয় তরুণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও শারীরিক সম্পর্কস্থাপন। সেই ‘অপরাধে’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দেওয়া হল এক ছাত্রীকে। এক জন বিদেশির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ছাত্রীর লেখাপড়া শিকেয় তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর-পূর্ব চিনে অবস্থিত ডালিয়ান পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ছাত্রীটি একজন ইউক্রেনীয় পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। সেই আচরণ দেশের মর্যাদার ক্ষতি করছে এই দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। বিবৃতিতে তাঁর নামও উল্লেখ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ছাত্রী এক জন ইউক্রেনীয় তরুণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ড্যানিলো টেসলেঙ্কো নামের ৩৭ বছর বয়সি প্রেমিক চিনা তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তরুণীর সম্পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করেন। এর মধ্যে তাঁর নাম এবং পারিবারিক বিবরণও ফাঁস করে দেওয়া হয়। কয়েক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার দাবিও জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অনেকেই চিনা সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি বা হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের প্রায়শই কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হয় না। উল্টো দিকে ছাত্রীকে প্রকাশ্যে লজ্জিত করা হয়েছে এবং তাঁর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এক চিনা আইনজীবীর মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তরুণীকে বহিষ্কার করার কোনও আইনি যুক্তি নেই। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনকে মনে করছেন এই শাস্তি অন্যায্য। ছাত্রীর গোপনীয়তাকে সম্মান করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গোপনীয়তা এবং লিঙ্গসমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।