Karnataka

সরকারি আবাসিক স্কুলের শৌচাগারে সন্তানের জন্ম দিল নবম শ্রেণির পড়ুয়া! ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলল কমিশন

ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেলে। তবে বৃহস্পতিবারই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। কর্নাটক রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য শশীধর কোসাম্বে কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১২:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্কুলের শৌচাগারে সন্তানের জন্ম দিল নবম শ্রেণির ছাত্রী! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের ইয়াদগির জেলার একটি সরকারি আবাসিক স্কুলে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে সেই রাজ্য জুড়ে। শুরু হয়েছে তদন্ত। ছাত্রী এবং নবজাতক উভয়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। দু’জনেই বর্তমানে শাহাপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকালে। তবে বৃহস্পতিবারই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, ন’মাস আগে ওই কিশোরীকে ‘যৌন হেনস্থা’ করেছিল এক জন। কিন্তু প্রথমে কিশোরী অভিযুক্তের পরিচয় জানাতে চায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। অভিযোগ, কিশোরীর দাদার অনুরোধে বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তারা জানতে পারে, অভিযুক্ত ২৮ বছরের যুবক।

সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হস্টেলের ওয়ার্ডেন, স্কুলের প্রধানশিক্ষক, নার্সিং কর্মী এবং কিশোরীর দাদার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে হস্টেলের ওয়ার্ডেন, স্কুলের প্রধানশিক্ষক-সহ স্কুলের চার কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Advertisement

কর্নাটক রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য শশীধর কোসাম্বে কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। কোসাম্বে জানিয়েছেন, যে হেতু স্কুল কর্তৃপক্ষ কমিশনকে বিষয়টি জানাননি, তাই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হবে।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে কোসাম্বে বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি ইয়াদগিরের ডিসিপিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা দায়ের করতে বলেছি। সন্ধ্যার মধ্যে কমিশনের কাছে একটি রিপোর্টও জমা দিতে বলেছি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের প্রতি মাসে মেয়েটির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা উচিত ছিল। তবে, মনে হচ্ছে তাঁদের পক্ষ থেকে কিছু গাফিলতি হয়েছে। এর জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও করেছি।’’

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়েছে কর্নাটক জুড়ে। নিন্দার ঝড় উঠেছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement