—প্রতীকী ছবি।
চাকুরিজীবীদের অনেকেই পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখতে পছন্দ করেন। আবার কর্মক্ষেত্রে কিছু মানুষ এতই ভাল বন্ধু হয়ে ওঠেন যে কাজের বাইরেও তাঁদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ চলতে থাকে। উল্টোটাও হয়। কিছু সহকর্মীর স্বভাবের জন্য তাঁদের সঙ্গে যাবতীয় কথোপকথন সীমাবদ্ধ থাকে কর্মক্ষেত্রের মধ্যেই। ওই সহকর্মীরা ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলান, তা অনেকেই চান না। তবে এক সহকর্মীকে বিয়েতে আমন্ত্রণ না জানানোয় যে তিনি তাঁর নামে অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করবেন, তা কল্পনাও করেননি এক তরুণী। অবিশ্বাস্য মনে হলেও রেডিটে এমনটাই জানিয়েছেন এক তরুণী। সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে।
আমেরিকার বাসিন্দা ওই তরুণীর দাবি, বিয়েতে আমন্ত্রণ না জানানোয় সহকর্মী এক মহিলা রেগে গিয়ে তাঁর নামে সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগে (এইচআর) অভিযোগ জানিয়েছেন। অফিসে হট্টগোলও নাকি করেছেন। সমাজমাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর বিয়েতে অফিসের এক সহকর্মীকে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। ওই কর্মী সে কথা জানতে পারেন। কেন তাঁকে বিয়েতে ডাকা হয়নি, রেগে গিয়ে তা নিয়ে তরুণীর কাছে এসে চোটপাট করেন। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি।
তরুণীর দাবি, এর পর ওই সহকর্মী তাঁর নামে অভিযোগ জানাতে সটান পৌঁছে যান এইচআরের কাছে। এইচআরের কাছে গিয়ে তরুণীর নামে নালিশ করে ওই সহকর্মী জানান, কর্মীদের বিচ্ছিন্ন করতে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করতেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানাননি ওই তরুণী। বেছে বেছে মাত্র কয়েক জন কর্মীকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তরুণী জানিয়েছেন, সহকর্মীর অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এইচআর এবং ওই কর্মীকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং একজন কর্মী কাকে আমন্ত্রণ জানাবেন এবং কাকে জানাবেন না, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। ওই সহকর্মীর অভিযোগও নাকচ করে দেওয়া হয়। তবে রেডিট ব্যবহারকারী তরুণীর দাবি, এত কিছুর পরেও কর্মক্ষেত্রে তাঁকে তিষ্ঠোতে দিচ্ছেন না ওই সহকর্মী। খুব অদ্ভুত আচরণ করছেন। মাঝেমধ্যে কটূক্তিও করছেন তাঁর উদ্দেশে।
তরুণীর সেই পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরেই নেটাগরিকদের মধ্যে হইচই পড়েছে। নেটাগরিকদের সিংহভাগই ওই তরুণীকে সমর্থন করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে মজার মজার মন্তব্য করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক মজা করে লিখেছেন, ‘‘আসলে ওই সহকর্মীর বিনামূল্যে খাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আর সে কারণেই তিনি রেগে গিয়েছেন।’’