Bizarre

অসুস্থতার জন্য ছুটি চাওয়ায় কর্মীর কাছে জানতে চাওয়া হল ঋতুস্রাবের তারিখ, কেটে নেওয়া হল বেতনও!

অসুস্থতার কারণে এক ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার কাজে বসতে চান তরুণী। সেই বিষয়ে অনুমতি নিতে সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মী হুয়াং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু তরুণীর বিরতি নেওয়ার কথা শুনেই রেগে আগুন হয়ে যান হুয়াং।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ০৭:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজ করছিলেন তরুণী। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে তাঁর। ধুম জ্বর আসে তরুণীর। এই অসুস্থতা নিয়ে আর ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে পারছিলেন না তিনি। তাই এক ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তরুণী। তার পর আবার কাজে বসবেন তিনি। ঊর্ধ্বতনের কাছে এক ঘণ্টা বিরতির অনুমতি চাইতেই তিনি গেলেন চটে।

Advertisement

তরুণীকে নানা অকথা-কুকথা শুনিয়ে দিলেন তিনি। এমনকি, মিথ্যাচারের অভিযোগও করলেন ঊর্ধ্বতন। এমন বিষাক্ত পরিবেশ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে সংস্থার কাছে নালিশ জানাতে বাধ্য হলেন তরুণী।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনের শিয়াওশান জেলার এক দফতরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণীর নাম অবশ্য জানা যায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মীর নাম হুয়াং। চাকুরিরত তরুণীর দাবি, শরীর খারাপ নিয়েই কাজে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে তাঁর। থামোর্মিটারে মেপে তিনি দেখেন যে, তাঁর ১০০.৪ ফারেনহাইট জ্বর। আর ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে পারছিলেন না তরুণী। তিনি ভাবেন, এক ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার কাজে বসবেন তিনি।

Advertisement

সেই বিষয়ে অনুমতি নিতে সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মী হুয়াং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু তরুণীর ছুটি নেওয়ার কথা শুনেই রেগে আগুন হয়ে যান হুয়াং। তরুণীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন তিনি। তরুণীর দাবি, হুয়াং নাকি তাঁকে অবান্তর প্রশ্ন করতে শুরু করেন। হুয়াং বলেন, ‘‘১০০ ফারেনহাইট জ্বর নিয়ে তুমি কাজ করতে পারছ না? আমায় বোকা পেয়েছ নাকি! তোমার শরীর এতই দুর্বল হলে সব ছেড়ে দাও। আসলে এ সব তোমার ফাঁকিবাজির লক্ষণ।’’

ঊর্ধ্বতনের কাছে বকা খাওয়ার পর আর বিরতি নেননি তরুণী। ওই শরীর খারাপ নিয়েই কাজ করতে থাকেন তিনি। তা নজরে পড়ে হুয়াংয়ের। তা নিয়েও নাকি তরুণীকে বাক্যবাণে আক্রমণ করেন হুয়াং। তরুণীকে তিনি বলেন, ‘‘ঋতুস্রাব চলছে নাকি তোমার? না কি নির্ধারিত সময়ে ঋতুস্রাব হয়নি বলে এ সব পাগলামি করছ তুমি? আমার কাছ থেকে ছুটি চাওয়ার পর আবার বসে রয়েছ কেন? তুমি আদতে কোনও কাজই করছ না। কাজের ভান করার জন্য ছুটি না নিয়ে বসে রয়েছ। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তোমার। মাথার ডাক্তার দেখাও।’’

তরুণী এক ঘণ্টা কাজ করেননি তার হিসাব দেখিয়ে সেই সময়ের বেতনও কেটে দেন হুয়াং। ক্রমাগত কটুবাক্য বর্ষণ আর সহ্য করতে পারেননি তরুণী। সংস্থার দ্বারস্থ হয়ে ঊর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে নালিশ জানান তিনি। নিয়ম ভাঙার অপরাধে হুয়াংকে সংস্থার তরফে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি, তরুণীর কোনও বেতন কাটা হবে না তা নিয়ে আশ্বস্তও করেছে সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement