ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
প্রতি দিন কী আর জঙ্গলের গাছপালা খেতে ভাল লাগে, তাই স্বাদ বদলাতে বড় মুদিখানার দোকান ঘুরে দেখল গজানন। হাতি বলে কি ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে ইচ্ছা করে না? তাই শুঁড় দুলিয়ে দোকানটি ঘুরেও দেখল সেই ‘আহ্লাদী’ হাতি। তবে, মুদি দোকান যতই বড় হোক, হাতির উচ্চতার সামনে সেটি ছোটই। হাতিটির পিঠ ঠেকে গেল দোকানের ছাদে। তাতে যদিও হাতিটির ঘুরে বেড়ানোয় বিশেষ ফারাক পড়ল না। সে দিব্যি নিজের ইচ্ছেমতো তাকে রাখা খাবারদাবার তুলে তুলে খেতে লাগল। সম্প্রতি সেই রকমই মজার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভিডিয়ো অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের খাও ইয়াইতে। তাইল্যান্ডের খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যানের একটি পুরুষ হাতি সেই উদ্যানের কাছাকাছি অবস্থিত একটি বড় মুদি দোকানে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সে কারও কোনও ক্ষতি করেনি বলে জানতে পারা গিয়েছে। তার ধাক্কায় দোকানের ছাদ অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, সেই দোকানের অন্যান্য জিনিস ও বাকি কর্মচারীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। হাতিটি দোকান থেকে নিজের পছন্দমতো খাবার খেয়ে আবার উদ্যানে ফিরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দোকানের কর্মচারীরা প্রথমে হাতিটিকে তাড়ালেও সে তাঁদের পাত্তা দেয়নি, খাবার খাওয়া হলে সে নিজেই সেখান থেকে চলে গিয়েছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি বড় মুদিখানার দোকানের ভিতর ঢুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি হাতি। গজাননের বিশাল আকৃতির কাছে সেই দোকানটির উচ্চতা কিছুই নয়। ফলত হাতিটির পিঠ ছুঁয়ে রয়েছে দোকানটির ছাদ। কিন্তু তাতে হাতিটির কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না। সে তার মতো লেজ আর শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে দোকানের তাকে রাখা খাবার দেখে চলেছে। সেখান থেকে পছন্দমতো খাবার তুলে টপাটপ খেয়েও নিচ্ছে সে। দোকানের কর্মচারীরা তাকে তাড়ানোর জন্য এক-দু’বার ধমকও দিলেন। কিন্তু গজানন সে সব ‘বাড়তি কথা’য় পাত্তা দিল না। সে তার মতো মনের সুখে খাবার খেয়ে চলল। খাওয়া শেষে সে নিজেই চুপচাপ বেরিয়ে গেল। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
‘ব্যাঙ্কককমিউনিটিহেল্প’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রচুর নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে লাইক ও কমেন্ট করেছেন। প্রায় এক লক্ষেরও বেশি নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নানা রকম মজার মন্তব্য করে নেটাগরিকেরা ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন।