—প্রতীকী ছবি।
ইউরোপের এক সংস্থায় কাজ করেন তরুণী। তবে তিনি ভারতের বাসিন্দা। ভারতে থেকেই অনলাইনে কাজকর্ম সামলান তিনি। মোটা টাকা বেতন পান। এমনকি, বাড়িতে থেকে কাজ করার সুবিধা রয়েছে বলে আর চাকরি বদলাতে চাননি তরুণী। আড়াই বছর ধরে একই সংস্থায় কাজ করছেন তিনি। দু’বছর ধরে ভালই পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। কিন্তু চলতি বছর থেকে তাঁর বস্ কারণে-অকারণে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন তরুণীর সঙ্গে। এমনকি, মাস গেলে ঠিক সময়ে বেতনও দিচ্ছেন না তাঁকে।
তরুণীর দাবি, তিনি বিবাহিত বসের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সে কারণেই তরুণীর কর্মজীবন অসহনীয় করে তুলতে চাইছেন তাঁর ঊর্ধ্বতন। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তরুণী (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে এক তরুণী নিজের নামোল্লেখ না করে তাঁর কর্মজীবনের একটি ছবি তুলে ধরেছেন। আড়াই বছর ধরে এক বিদেশি সংস্থায় কাজ করছেন তিনি। ভারতে থেকেই ইউরোপের সংস্থার কাজকর্ম সামলান তিনি। কারও সাহায্য না নিয়ে একা হাতে সমস্ত দায়িত্ব সামলাতে পারেন বলে উপরমহলে প্রশংসার পাত্রী তিনি। এমনকি, তিনি দিন কয়েক অফিস থেকে ছুটি নিলেও খাতায়কলমে সেই ছুটি কাটা হত না।
তরুণী ভাবতেন যে, তাঁর কাজে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট থাকায় তাঁকে এমন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁর ধারণা যে একেবারেই ভুল, তা কিছু দিন আগে বুঝতে পারলেন তরুণী। তাঁর বসের বৈবাহিক জীবন সুখের নয়। কানাঘুষোয় তরুণী জানতে পেরেছেন যে, সন্তানদের নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন তাঁর বসের স্ত্রী। কিন্তু বসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। সেই বিবাহিত বস্ নাকি তরুণীকে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তরুণী।
ছবি: সংগৃহীত।
তার পর থেকেই অধস্তন সহকর্মীর উপর খেপে গিয়েছেন তাঁর বস্। তরুণীর অভিযোগ, তাঁর বস্ এত দিন তরুণীর প্রশংসা করে এসেছেন। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার পর থেকে উপরমহলে সেই তরুণীর বিরুদ্ধে নানা রকম নালিশ করছেন তিনি। তরুণী নাকি সময়মতো কাজ করতে পারেন না, তরুণীর মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে— এই ধরনের নানা অভিযোগ তরুণীর বিরুদ্ধে সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে করেছেন তাঁর বস্।
এমনকি, সঠিক সময়ে বেতনও পাচ্ছেন না তরুণী। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই চাকরি থেকে তিনি ভাল বেতন পান এবং বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাই চাকরি বদল করতে চাইছেন না। অন্য দিকে, এই মন্দার বাজারে এক বার চাকরি ছেড়ে দিলে নতুন চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। এ সব ভেবে তরুণী নিজের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।