—প্রতীকী ছবি।
দোকানে মাংস কিনতে গেলে তরুণের কাছে এক পয়সাও কম নেন না। কিন্তু তরুণের স্ত্রী যখন মাংস কিনতে চান, তখন নির্ধারিত মূল্যের উপর প্রচুর ছাড় দেন কসাই। বেশ কয়েক বার এই ঘটনাটি নজরে পড়ায় মনে সন্দেহ জাগে তরুণের। কসাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, সন্দেহ দানা বাধে তাঁর মনে। সেই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপালেন তরুণ। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন তরুণী। ছুরি মারার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলে তাতে আপত্তি জানান তরুণী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি উত্তর চিনের নিংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে। অভিযুক্ত তরুণের নাম জ়োউ। তাঁর স্ত্রী জাওয়ের সঙ্গে ৩০ বছরের সংসার জ়োউয়ের। এত বছরের দাম্পত্যজীবন বেশ সুখের ছিল বলেই দাবি জাওয়ের। দিন কয়েক আগে তাঁর সঙ্গে হঠাৎ অশান্তি শুরু করেন জ়োউ। জ়োউয়ের দাবি, পাড়ার কসাইয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
তাঁর ধারণা, জাও যখন মাংস কিনতে যান, তখন তাঁকে প্রচুর ছাড় দিয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করেন কসাই। দিনের পর দিন এই ঘটনা দীর্ঘ দিন ঘটে চলায় সন্দেহ হয় জ়োউয়ের। জাওকে সে বিষয় নিয়ে প্রশ্নও করেন তিনি। দু’পক্ষের কথোপকথন ক্রমে বচসায় পরিণত হয়। অভিযোগ, রাগের চোটে জাওকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন জ়োউ। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন জাও। জ়োউকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতের তরফে তাঁকে সাড়ে ১০ বছরের হাজতবাসের সাজা দেওয়া হলে আপত্তি জানান জাও। তাঁর দাবি, ৩০ বছরের সংসারে জ়োউয়ের সঙ্গে কখনও অশান্তি হয়নি তাঁর। জ়োউ সব সময় যা উপার্জন করতেন, তার সবটুকুই সংসারের জন্য খরচ করতেন। কখনও জাওয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। জাও তাঁর পুত্র এবং নাতির কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে আর জলঘোলা করতে চান না। স্বামীর ভুলের জন্য তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে আদালতে জানান জাও।