সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের পর মঙ্গলবার চিনের বেজিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা পর্ব শুরু হওয়ার আগেই অস্বস্তিতে পড়লেন শাহবাজ়। কোনও ভাবেই কানের পিছনে হেডফোন লাগাতে পারছিলেন না তিনি। ক্রমাগত হেডফোন পরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সামনের আসনে ধৈর্য ধরে বসেছিলেন পুতিন।
হেডফোন পরতে গিয়ে শাহবাজ় রীতিমতো খাবি খাচ্ছেন দেখে ইশারা করে হেডফোন পরার কায়দা বাতলে দিলেন পুতিন। কিছু ক্ষণ পর হেডফোনটি ঠিকঠাক ভাবে পরে ফেললেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখে হাসির বন্যা বয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।
‘হিন্দুত্ব ভিজিলান্টে’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, কানের ভাঁজে হেডফোন পরতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কখনও এক হাত দিয়ে হেডফোন পরার চেষ্টা করছেন, কখনও আবার দু’হাত দিয়ে হেডফোনটি কানে চেপে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও নীচে পড়ে যাচ্ছে হেডফোনটি। পুরো সময় জুড়েই ধৈর্য ধরে বসেছিলেন পুতিন। শাহবাজ়ের পরিস্থিতি দেখে মুচকি হাসেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে হেডফোন পরিয়ে দিতে সে দিকে এগিয়ে যান এক সহকারী। তাঁকে এগিয়ে যেতে দেখে টেবিল থেকে নিজের হেডফোনটি তুলে নেন পুতিন। কী ভাবে হেডফোনটি পরতে হয় তা ইশারা করে দেখিয়ে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তখনও হেডফোন পরার দিকেই মনোনিবেশ করছিলেন শাহবাজ়। অবশেষে কোনও সাহায্য ছাড়াই হেডফোন পরতে সফল হন তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে তাঁকে ঘিরে হাসাহাসি শুরু হয়ে যায় নেটপাড়ায়।
তবে হেডফোন পরা নিয়ে এই প্রথম বিপাকে পড়েননি শাহবাজ়। তিন বছর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। তখনও তাঁর সামনে উপস্থিত ছিলেন পুতিন। ২০২২ সালের এসসিও সভার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলাকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী একই রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে হেসে ফেলেছিলেন পুতিন। তিন বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে দেখে শাহবাজ়কে ব্যঙ্গ করেছেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। এক জন নেটব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, ‘‘তিন বছর ধরেও হেডফোন পরা শিখতে পারলেন না! এ জন্যই দেশের এমন পরিস্থিতি।’’