bizarre

বাবাকে চিনতেন না তরুণ, ২০ বছর পর খুঁজে দিল সমাজমাধ্যম, ছেলের ফোনে কেঁদে ফেললেন প্রৌঢ়!

রেডিট পোস্টে তরুণ লেখেন যে তাঁর বাবা মূলত কেরলের বাসিন্দা ছিলেন এবং এখন তাঁর বয়স প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ বছর হবে। শৈশবেই তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জন্মের মাত্র দু’বছরের মধ্যেই বাবা ও মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। বাবার স্নেহ বা ভালবাসা থেকে ছোট থেকে বঞ্চিত ছিলেন তরুণ। প্রায় দু’দশক ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার পরে পুর্নমিলন ঘটল বাবা ও ছেলের। সৌজন্যে সমাজমাধ্যম রেডিট। সেই সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী তরুণ কয়েক দিন আগে রেডিটে তাঁর বাবার সন্ধান পাওয়ার জন্য একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্ট ছড়িয়ে যাওয়ার পর যা ঘটল তা কোনও সিনেমার গল্পের থেকে কম কিছু নয়। অনলাইনের জাদুকাঠিতে মিলন হল পিতা-পুত্রের।

Advertisement

বাবাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য রেডিটের সেই পোস্টে তরুণ জানিয়েছিলেন, ১৯৯৮ সালে বেঙ্গালুরুর ‘পূর্ণিমা ট্রাভেলসে’ কাজ করতেন তাঁর বাবা। সেই আবেগঘন রেডিট পোস্টে তরুণ লেখেন যে, তাঁর বাবা মূলত কেরলের বাসিন্দা ছিলেন এবং এখন তাঁর বয়স প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ বছর হবে। শৈশবেই তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি লেখেন, ‘‘আমার মাত্র ২ বছর বয়সে আমার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান এবং আমি কখনও তাঁকে জানার সুযোগ পাইনি।’’ সেই পোস্ট পড়ে প্রতিক্রিয়ার ঝড় বয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। অনেকেই তাঁকে তাঁর বাবার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

কয়েক দিন পর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। রেডিট ব্যবহারকারী দ্বিতীয় একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে তাঁদের পরিবারের যোগাযোগ ঘটেছে। ফোনে ছেলের গলা শুনে কেঁদে ফেলেছেন প্রৌঢ় বাবা, এমনটাই লিখেছেন রেডিট ব্যবহারকারী। পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর তরুণের বাবা আর বিয়ে করেননি। বর্তমানে তিনি চেন্নাইয়ে কর্মরত এবং গত চার বছরের মধ্যে তাঁর বাবা কেরলে আসেননি বলে জানিয়েছেন পোস্টদাতা তরুণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement