—প্রতীকী ছবি।
বেড়াতে গিয়ে পানশালায় পরিবেশনকারী কর্মীর (বারগার্ল) সঙ্গলাভের জন্য তাঁকে হোটেলের ঘরে নিয়ে আসেন তিন ভারতীয়। কিন্তু হোটেলের কামরায় আসার পর তরুণীর ‘চেহারা’ দেখে তাঁদের মনের ইচ্ছা পাল্টে যায়। তরুণীর সঙ্গে রাত কাটাবার প্রস্তাব নাকচ করে দেন তিন জনই। পানশালার তরুণী কর্মীর সঙ্গে তর্ক শুরু হওয়ার পরই গভীর রাতে পুলিশ ডাকেন তিন যুবক। তাঁদের ফোন পেয়ে তাইল্যান্ডের পুলিশ আসে মীমাংসা করতে। তিন ভারতীয়ই পুলিশকে জানান, তরুণীর চেহারা মোটেই আকর্ষণীয় মনে হয়নি, বিশেষত তাঁর স্তনের আকার ও গঠন মনে ধরেনি তাঁদের। সে কারণে বারগার্লকে দেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত চান তাঁরা।
তাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। পুলিশকে সোই পাটায় বিচ ১১-এর একটি হোটেলে ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে এক মাঝবয়সি তরুণী হোটেলের ঘরে বসে আছেন। পুলিশ দেখে অবাক হন তরুণী। ভারতীয় পর্যটকেরা অভিযোগ তোলেন তাঁদের ওই তরুণীকে পছন্দ নয় ও তাঁকে ঘর থেকে চলে যাওয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি কামরা থেকে চলে যেতে রাজি হননি।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি বারে এই তিন যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তাঁদের সঙ্গে রাত কাটানোর জন্য ৩,০০০ ভাটের (প্রায় ৮,০০০ টাকা) চুক্তি হয় তরুণীর। হাজার ভাট (প্রায় ২০০০ টাকা) জমা দেওয়ার পর তরুণী তিন জনের সঙ্গে হোটেলের কামরায় আসেন।
হোটেলে পৌঁছে তরুণীর নগ্ন চেহারা দেখে তিন তরুণ স্তনের মাপ নিয়ে কটাক্ষ ও সমালোচনা করতে শুরু করেন এবং তাঁকে বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। ওই তরুণী দাবি তোলেন তিনি অবশিষ্ট অর্থ না নিয়ে হোটেলের ঘর ছাড়বেন না। টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে তিন তরুণ পুলিশকে খবর দেন বলে অভিযোগ করেন তাই তরুণী। বহু তর্কের পর ও পুলিশের হস্তক্ষেপে তরুণী অগ্রিম অর্থ ফেরত দিতে রাজি হন। হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।