হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুহূর্ত। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
সমুদ্রের ধারে টিলায় ধাক্কা লেগে ভেঙে গিয়েছিল পিছনের অংশ। কিছু ক্ষণ পর মাঝ-আকাশে আগুন লেগে আছড়ে পড়ল রাশিয়ার একটি ফৌজি হেলিকপ্টার। শুক্রবার রাশিয়ার রিপাবলিক অফ দাগেস্তানে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনার মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিমান সংস্থা কিজ়লিয়ার ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল প্ল্যান্ট (কেইএমজ়েড)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মীদের নিয়ে কিজ়লিয়ার থেকে ইজবেরবাশ যাচ্ছিল একটি কেএ-২২৬ হেলিকপ্টার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কপ্টারের চালক কাস্পিয়ান সাগরের তীরে আচি-সু গ্রামের কাছে একটি সৈকতে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় কপ্টারটি। ফলে সমুদ্রের ধারে একটি পাহাড়ি টিলায় ধাক্কা লেগে কপ্টারটির পিছনের অংশ ভেঙে যায়। এর পরেও হেলিকপ্টার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চালক। সমুদ্রের উপর বেশ কিছু ক্ষণ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চক্কর খেতে থাকে কপ্টারটি। এক বার সমুদ্রেও পড়ে যায়। আবার উড়তে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পরে আগুন ধরে যায় কপ্টারটিতে। এর পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রের কাছে একটি ব্যক্তিগত বাসভবনের উঠোনে ভেঙে পড়ে সেটি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার অভিঘাতে প্রায় ৮০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে দমকলকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার কেইএমজ়েড সংস্থার তরফে দুর্ঘটনায় নিহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে হেলিকপ্টারের ফ্লাইট মেকানিক-সহ সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ডিরেক্টর, প্রধান ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রধান ডিজ়াইনার ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা থাকলেও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া এই ঘটনাকে ‘বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছে। একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত চালানোর কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কপ্টার দুর্ঘটনার যে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তার মধ্যে একটি পোস্ট করা হয়েছে ‘দ্যনিউএরিয়া৫১’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনই যাত্রীদের পরিণতির কথা ভেবে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।