ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেনের কামরায় এসি ঠিকমতো কাজ করছিল না। কামরা ঠান্ডা হচ্ছে না, যাত্রীদের এই অভিযোগ পেয়ে রেলের কর্মীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আসেন। এসির ডাক্ট খুলে পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় মেরামত কর্মীদের। সেই ডাক্টের ভিতরে থরে থরে সাজানো মদের বোতল। কাগজে মোড়ানো মদের বোতল লুকোনো অবস্থায় দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান রেলকর্মীরা। প্রায় ১৫০টি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে কামরা থেকে। লখনউ-বারাউনি এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কামরা থেকে মদ উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এসির সমস্যা দূর করতে কামরার ভিতরে ঢুকে ডাক্ট খুলছেন। সেখানে আলো ফেলতেই একের পর এক কাগজের মোড়ক বেরিয়ে আসে। সংবাদ প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার, ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ৪০ নম্বর আসনের যাত্রী বিপিন কুমার এসির সমস্যার অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে সারাই করতে আসেন কর্মীরা। ডাক্ট খুলে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। আরপিএফ এবং জিআরপি কর্মীদের সহায়তায় পুরো কোচের ডাক্ট খুলে ফেলা হয়। ১৫০টিরও বেশি বোতল উদ্ধার করা হয়।
আরপিএফ লখনউ জংশনের পরিদর্শক অমিত রাই জানান, গোন্ডার কাছে ট্রেনটি থেকে ২২টি প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। তাতে মদের বোতল ছিল। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমান, এগুলি বিহারে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে আগেও লখনউ-বারাউনি এক্সপ্রেসে মদ পাচারের ঘটনা ঘটেছে। ভিডিয়োটি ‘উইথলাভবিহার’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে রি-পোস্ট করা হয়েছে।