ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
অসুস্থ শিশুকন্যার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তরুণ। চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁর কন্যার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতেও চাইলেন না। চিকিৎসকের বারণ সত্ত্বেও তাঁকে অনুরোধ করতে থাকেন তরুণ। বিরক্ত হয়ে তরুণের গালে চড় মারেন সেই চিকিৎসক। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘ইলিয়াস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণীর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলছে। আঙুল তুলে উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করছেন তিনি। ক্যামেরার ও পারে থাকা ব্যক্তিকে চড়ও মারলেন সেই তরুণী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি রবিবার অহমদাবাদের এক হাসপাতালে ঘটেছে। চিকিৎসকের নাম জানা না গেলেও ক্যামেরার ও পারে থাকা তরুণের নাম জানা গিয়েছে। তরুণের নাম আসিক হরিভাই চাভড়া। অহমদাবাদের বাসিন্দা তিনি। তাঁর শিশুকন্যা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে সেখানকার একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন আসিক।
চিকিৎসকের কাছে সন্তানকে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন সেই চিকিৎসক। তার পরেও সন্তানের কথা ভেবে বার বার চিকিৎসককে অনুরোধ করতে থাকেন আসিক। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন তিনি। তা বুঝতে পেরেই আসিকের গালে চড় মেরে দেন সেই চিকিৎসক। ভিডিয়ো তুলতে বারণ করেন তিনি। অশান্তি থামানোর জন্য সেখানে ছুটে যান এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর উপরেও চিকিৎসক খেপে যান। রাগে চিৎকার করে বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষী তো কখনওই কিছু করেন না।’’
পরে আবার আসিকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করতে রাজি নই। কারণ, আপনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।’’ সেখানেই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে তা পুলিশের নজর কাড়ে। সোমবার দুপুরে পুলিশ নিজেদের এক্স হ্যান্ডলের পাতায় পোস্ট করে জানান যে, রোগীর পরিবারের সঙ্গে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে রাজি নন। এমনকি, হাসপাতালের তরফেও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।