ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পুজোর জন্য মন্দিরে ভোগ রান্না করা হবে। তার জন্য প্রস্তুতি চলছে সকাল থেকে। ট্রাকভর্তি রান্নার সামগ্রী আনা হয়েছে। বিশাল বিশাল কড়াইয়ে রান্না শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত বড় কড়াইয়ে তো মানুষও সাঁতার কাটতে পারে। হাতা-খুন্তি দিয়ে কি আর কাজ হয়! তাই ‘জেসিবি-ঠাকুর’ই ভরসা। কড়াইয়ের ‘হাত’ ডুবিয়ে রান্না করছে জেসিবি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘মিস্টার_নীরজ_৮৪৫৭_’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, পাশাপাশি দু’টি মস্ত বড় কড়াইয়ে রান্না করা হচ্ছে। বড় হাতা-খুন্তি ব্যবহার করা হলেও কড়াইয়ের সমস্ত জায়গায় তা নাগাল পাচ্ছে না। তাই অন্য উপায় বার করলেন রাঁধুনি।
কড়াইয়ের সামনে একটি জেসিবি দাঁড় করানো ছিল। জেসিবির সামনের ‘ফ্রন্ট এন্ড লোডার’টি কড়াইয়ের ভিতর ডুবিয়ে দেওয়া হল। সেই লোডারের মধ্যে রান্নাটি তুলে আবার তার মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেললেন । ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের দন্দরৌয়া ধাম ঘটেছে।
জেসিবির সামনের অংশে যুক্ত ফ্রন্ট এন্ড লোডারটি ভারী ইস্পাত দিয়ে তৈরি। সাধারণত সেটি কৃষিনির্মাণ কাজে মাটি, বালি বা অন্যান্য জিনিসপত্র লোড করার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তা যে ‘জেসিবি ঠাকুরের হাত’-এ হয়ে যাবে তা কল্পনা করতে পারেননি নেটপাড়ার অধিকাংশ। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মন্দিরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে এই ঘটনা নিয়ে মজা করে লিখেছেন, ‘‘জেসিবি তো মস্ত বড় রাঁধুনি হয়ে গিয়েছে দেখছি!’’