ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে ফেলেছেন তরুণ। কলেজ থেকে ডিগ্রিও পেতে চলেছেন তিনি। সেই আনন্দে ফাঁকা জায়গায় পোজ় দিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার ইচ্ছাও জাগল তাঁর। খোলামেলা একটি জায়গা বেছে এক জন আলোকচিত্রশিল্পীকে সেখানে নিয়ে গেলেন ছাত্র। তরুণ আলোকচিত্রী যখন ছবি তুলতে ব্যস্ত, তখন তিনি লক্ষ করলেন তাঁর হাতের উপর কোথাও থেকে জল পড়ছে।
মাথা তুলে তিনি দেখলেন যে, ছাদ থেকে একটি বাঁদর পালিয়ে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। বাঁদরের কীর্তি বুঝতে আর দেরি হল না তরুণের। তিনি যখন ছবি তুলছিলেন, তখন উপরে বসে তরুণের হাতে প্রস্রাব করে পালিয়ে গিয়েছে ওই বাঁদরটি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘মাস্টশেয়ারনিউজ়’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, হাতে ক্যামেরা নিয়ে এক জন ছাত্রের ছবি তুলছেন তরুণ এক আলোকচিত্রী। স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীরা যে রোব জড়িয়ে থাকেন, ছাত্রের পরনে তা-ই দেখা যাচ্ছে। ‘গ্র্যাজুয়েশন ফোটোশুট’ করাচ্ছেন তিনি। তাঁর ছবি যে আলোকচিত্রী তুলছিলেন, তাঁর হাতে হঠাৎ উপর থেকে জল পড়ল।
উপরে তাকিয়ে তিনি দেখলেন যে, একটি বাঁদর সেখান থেকে দৌড়ে পালাল। আসলে, ওই বাঁদরটি তরুণের হাতে প্রস্রাব করে পালিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি গত সোমবার তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ঘটেছিল। দুই তরুণকে দেখে সেখানে ছুটে গিয়েছিল একটি বাঁদরের দল। ছাদে বসে দুই তরুণকে লক্ষ করছিল তারা। সেই দল ছেড়ে একটি বাঁদর এগিয়ে গিয়ে আলোকচিত্রীর মাথা তাক করে বসে পড়ল। বন্ধুর কীর্তি বুঝতেই সেখান থেকে একে একে পালিয়ে যেতে শুরু করল অন্য বাঁদরেরা। তার পরেই আলোকচিত্রীর হাতে ‘কর্ম’ সেরে সেখান থেকে পালিয়ে গেল বাঁদরটি।