ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। আর ধরা পড়তেই চাঞ্চল্যকর কাণ্ড ঘটালেন যুগল। পুলিশের গাড়ির উপর চেপে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন তাঁরা। পুলিশকে গালিগালাজ থেকে সর্বসমক্ষে ঘনিষ্ঠ হওয়া— সবই চলল। তাঁদের কাণ্ড দেখে জমল ভিড়। তৈরি হল যানজট। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার রামপুরায়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়ি থেকে পালাচ্ছিলেন যুগল। তরুণী নিখোঁজ হতেই তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পুলিশে খবর দেন। তদন্তে নেমে কোটার রামপুরায় যুগলের খোঁজ পায় পুলিশ। ধরে ফেলে তরুণ এবং তরুণীকে। কিন্তু সেখান থেকেও পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে লাভ হয়নি। পুলিশ তাঁদের আবার ধরে ফেলে। এর পরেই পুলিশের ভ্যানে চড়ে বসেন তরুণ এবং তরুণী। চিৎকার করে গালিগালাজ করতে থাকেন পুলিশকে। নাচতে থাকেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়েও পড়েন পুলিশের গাড়ির ছাদে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ভিড় জমে যায়। যানজট তৈরি হয় রাস্তায়। এর পর যুগলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায় পুলিশ। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘এনসিএমইন্ডিয়া’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। একসময় ভারতের ‘কোচিং শিক্ষার রাজধানী’ হিসাবে পরিচিত কোটা শহরে এ-হেন কাণ্ড ঘটায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। বিতর্কও শুরু হয়েছে।
ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, যুগলের কারণে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ভিড় সরাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলেও এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন।