ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
গরবা শেখার জন্য নাচের ক্লাসে গিয়েছিলেন তরুণী। তরুণ প্রশিক্ষক মাঝখানে দাঁড়িয়ে নাচের মুদ্রা শেখাচ্ছিলেন। অন্য মহিলারা তাঁকে অনুকরণ করে নাচ তুলছিলেন। সেই সময় নাচের ক্লাসে দল বেঁধে ঢুকে পড়েন কয়েক জন। তরুণীর হাত ধরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ক্লাস থেকে নিয়ে যান তাঁরা। অন্য এক তরুণী বাধা দিতে চাইলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন দুষ্কৃতীরা। জনসমক্ষে ক্লাস থেকে তরুণীকে অপহরণ করে গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার খানপুরা এলাকায় ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাচের ক্লাসে গরবা শিখছিলেন তরুণী। হঠাৎ চার জন পুরুষ এবং দুই মহিলা নাচের ক্লাসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে সেই তরুণীকে অপহরণ করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেতেই তদন্তে নেমে ছ’জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।
তরুণীর দাবি, তাঁর স্বামী মদ খেয়ে শারীরিক অত্যাচার করতেন। দিনের পর দিন এই হেনস্থা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। সংসারে অশান্তি থাকার কারণে তিনি এক তরুণের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। গত তিন মাস ধরে সেই তরুণের সঙ্গে একত্রবাস করছিলেন তরুণী।
তরুণীর আরও দাবি, বাড়িতে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানালে তাঁর পরিবার আপত্তি জানায়। তাই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরকীয়ার কথা জানতে পেরে তাঁর স্বামীই নাকি তরুণীকে অপহরণ করানোর জন্য দুষ্কৃতীদের ভা়ড়া করেছিলেন। বর্তমানে সকল অভিযুক্তই কারাগারে বন্দি রয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।