মুখ্যমন্ত্রী জানান, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানে বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ওই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তুলনামূলক কম আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে বিহারের মতিয়ার থানার চিরাইয়া সারসওয়া ঘাট এলাকার ৪৫ জন পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর ও তারকেশ্বর দর্শন শেষে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের নলা ফেরিঘাটের কাছে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ১২ চাকার লরিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মেরে বাসটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই বহু যাত্রী গুরুতর জখম হন। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকেরা ১১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের সকলেই বিহারের বাসিন্দা। নিহত এবং আহতদেরও বেশিরভাগই বিহারের বাসিন্দা। তাঁদের জন্য বাংলার সরকারের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা। মানবিক কারণে ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই রাজ্যের এই পদক্ষেপ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলাশাসক আয়েশা রানি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বাসযাত্রীরা সকলেই বিহারের মতিয়ার থানা চিরাইয়া সারসওয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা। গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে তারকেশ্বর হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথেই দুর্ঘটনা। ৪৫ জন পুণ্যার্থীর মধ্যে পাঁচ জন শিশুও ছিল। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাসটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল, না কি গতি বেশি ছিল, সে সব বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।