পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে ধৃত তিন জন। —নিজস্ব চিত্র।
কর্তব্য পালন করতে গিয়ে রাজ্যে আবার আক্রান্ত পুলিশ। এ বার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। অভিযোগ, অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গিয়ে নির্মাণকারীদের বাধা পেতে হয়েছে পুলিশকে। শুধু তাই নয়, এক কনস্টেবলকে মারধর করে তাঁর একটি হাতে কামড় বসিয়ে মাংস তুলে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার দক্ষিণ বামুনিয়া এলাকায়।
বেশ কিছু দিন ধরে দক্ষিণ বামুনিয়া এলাকায় একটি বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। স্থানীয়েরা অভিযোগ করেন, সরকারি জমি দখল করে নির্মাণকাজ হচ্ছে। এ নিয়ে কয়েক জন থানায় অভিযোগও করেন। শুক্রবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখতে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে পাঠানো হয় উত্তর কাশীপুর থানা থেকে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বলেন পুলিশকর্মীরা। তার পরেই গোলমালের শুরু।
অভিযোগ, নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বলায় পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরেন কয়েক জন। প্রথমে কিছু ক্ষণ কথা কাটাকাটি, তার পর উর্দিধারীদের গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। আহত হন এসআই মনজুর আলম মণ্ডল এবং কনস্টেবল রবি রায়। কনস্টেবলের হরাত কামড়ে মাংস তুলে নেন এক অভিযুক্ত। সহকর্মীকে রক্ষা করতে গিয়ে আক্রমণকারীদের হাতে মার খান এসআই-ও। অভিযোগ, লাঠি-বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে পেটানো হয় তাঁদের।
ওই খবর যায় উত্তর কাশীপুর থানায়। সঙ্গে সঙ্গে বাহিনী গিয়ে দুই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গিয়েই শারীরিক ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে তাদের দুই কর্মীকে। প্রথমে দুই পুলিশকর্মীকে কয়েক জন মহিলা ঘিরে ধরেন। পরে আরও কয়েক জন জুটে গিয়ে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এসআই এবং কনস্টেবলকে।
শুক্রবারই পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ নির্মাণে যুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছে তারা। ওই ঘটনার পরে এলাকায় টানটান উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী।