Biswajit Das

বিয়ে হচ্ছে না! অভিযোগ পান ‘দিদির দূত’, যুবকদের আইবুড়ো নাম ঘোচাতে ২ কোটি টাকা ব্যয় বিধায়কের

স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ধুলনি গ্রামে এসেছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ। বিধায়ককে সামনে পেয়ে খারাপ রাস্তার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩২
Share:

ফিতে কেটে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করালেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। —নিজস্ব চিত্র।

‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে এলাকায় এলাকায় তৃণমূল বিধায়কেরা ঘুরছিলেন মানুষের সমস্যা শুনতে। সেটা পঞ্চায়েত ভোটের আগে। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও ‘দিদির দূত’ হয়ে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার কনিয়াড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলনি গ্রামে। সেখানে গিয়ে বিধায়ক শোনেন, বিয়ে হচ্ছে না এলাকার যুবকদের। কারণ, প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার দশা এমনই যে পাত্রীপক্ষ ছেলে দেখতে এসেই বিয়ে নাকচ করে দিয়ে চলে যান। এই ‘পথের দাবি’র কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে তোলেন বাগদার বিধায়ক। মমতার নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রশাসন। অবশেষে শুরু হল নতুন রাস্তা তৈরির কাজ। শনিবার ফিতে কেটে নারকেল ফাটিয়ে নতুন রাস্তার শিলান্যাস করে বিধায়ক বললেন, ‘‘এ বার বিয়ে করতে আর বাধা পাবেন না এলাকার যুবকেরা।’’ নতুন রাস্তার কাজ শুরু হতে হাসি ফুটেছে এলাকাবাসীর মুখে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ধুলনি গ্রামে এসেছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ। বিধায়ককে সামনে পেয়ে রাস্তা খারাপের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। অনেকে সেই সময় বলেন, ‘‘রাস্তা খারাপ বলে বিবাহযোগ্যদের বিয়েও হচ্ছে না।’’ সরেজমিনে রাস্তার বেহাল দশা দেখে তা খাতায় লিখে চলে গিয়েছিলেন বিধায়ক। অবশেষে সেই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাস্তার জন্য প্রায় ২কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।

বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি যে দিন এই রাস্তায় যাতায়াত করেছিলাম, মানুষ রাস্তার দাবি জানিয়েছিলেন। স্কুলে যাওয়ার সময় অনেক সময় ছেলেমেয়েরা জুতো হাতে করে রাস্তা পার হয়েছে। এই রকম ঘটনা নজিরবিহীন। এই কথাটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা ২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে। তার আজ শিলান্যাস হল। এলাকার মানুষ এতে আনন্দিত।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সে দিন ছেলেরা এসে বলেছিল, আমাদের বিয়ে হচ্ছে না। এ বার সেই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হবে। তাদের মুখে হাসি ফুটবে। যুবকদের বিয়ে করতে আর বাধা রইল না।’’ বিধায়কের এই কথায় হাসির রোল এলাকাবাসীর মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উদ্যোগের ফলে সবাই খুশি। আর বিশ্বজিৎ জানালেন, পুরো রাস্তার কাজ শেষ হতে মাস দেড়েক লাগবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন