Harichand Guruchand University

Harichand Guruchand University: সূচনা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় ছেলেমেয়েরা এলাকাতেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন বলে মত স্থানীয় মানুষের বড় অংশের।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:০৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দিন কয়েক আগে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অনলাইন পঠনপাঠন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলা, ইতিহাস, এডুকেশন এবং জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ানো হচ্ছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের সূচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে চারটি বিষয়ে অনলাইন ক্লাস করা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সূচনার পরে এ বার অফলাইনেও ক্লাস শুরু হবে।’’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গাইঘাটার দেবীপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া, কৃষ্ণনগরের বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একটি ক্যাম্পাস তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। যতদিন না বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শেষ হচ্ছে, ততদিন, গাইঘাটার ঠাকুরনগরে প্রমথরঞ্জন ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ এবং ঠাকুরনগরে হাইস্কুলে ক্লাস চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৪টি বিষয়ে ২৫ জন করে পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ না হলেও প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০ জন করে অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকা নেওয়া হয়েছে। আপাতত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনও কলেজকে যুক্ত করা হয়নি। উপাচার্য বলেন, ‘‘কোন কোন কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে, তা নিয়ে সরকার পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি ঠাকুরের জন্মশতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সরকারি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৯ সালে বারাসতে যাত্রা উৎসবে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসও করেন তিনি।

তাঁদের ধর্মগুরুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সরকারি পদক্ষেপে মতুয়া ভক্তেরা আনন্দিত। সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের মতুয়া সমাজের মানুষের কাছে আজ একটি স্মরণীয় দিন। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর শিক্ষার প্রসারে সারা জীবন কাজ করেছেন। গ্রামবাংলায় বহু স্কুল তৈরি করেছিলেন। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্বাস করতেন, একমাত্র শিক্ষাই মানুষের চেতনা আনে। তাঁদের সেই বিশ্বাসকে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকৃতি দিলেন।’’

Advertisement

বনগাঁয় কিছু কলেজ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় ছেলেমেয়েরা এলাকাতেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন বলে মত স্থানীয় মানুষের বড় অংশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন