—প্রতীকী চিত্র।
অটোচালক এবং তাঁর দলবলের হাতে ‘আক্রান্ত’ কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের আধিকারিক প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে পাল্টা মারাত্মক অভিযোগ। অভিযুক্ত অটোচালকের মায়ের শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি, এই অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা ওই কেন্দ্রীয় আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে থানায়। সোমবার এর প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী অটোচালকের পরিবারকে নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার রাতে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোনারপুর মেগাসিটি এলাকার বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিকেরক সঙ্গে স্থানীয় অটোচালকের বচসা হয়। কয়েক জনের মধ্যস্থতায় উভয়েই ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে গেলেও গন্ডগোলের ইতি হয়নি। যে আবাসনে প্রদীপ থাকেন, অভিযোগ, সেখানে ৪০-৫০ জনকে নিয়ে ঢুকে পড়েন ওই অটোচালক। শুল্ক আধিকারিকের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাঁর মাথা ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী-সন্তানের গায়েও হাত তোলা হয়েছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হন অটোচালক-সহ তাঁর বেশ কয়েক জন সঙ্গী। পরে প্রত্যেকেই বারুইপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এ বার সেই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়।
অটোচালকের তরফে অভিযোগ, ওই শুল্ক আধিকারিক তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানি করেছেন। এর পর তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোনারপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটিতে ঘরে ঢুকে মারধর, তাণ্ডব চালানোয় অভিযুক্ত হয়েছেন স্থানীয় অটোচালকেরা, অন্য মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ‘আক্রান্ত’ শুল্ক আধিকারিক।
সোমবার বারুইপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সোনারপুর থানায় একটি ফোন আসে। ফোনটি করেন ওই শুল্ক আধিকারিক। তিনি জানান, বটতলা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অটোচালকদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তার পর তাঁরা বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার মিনিট পনেরোর মধ্যে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এই ঘটনা চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। কেন তাঁরা জামিন পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ধারা যোগ করা এবং জামিন বাতিলের আবেদন করা হবে। অন্য দিকে, অটোচালকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নতুন তথ্য এলে ধারাও পরিবর্তন হতে পারে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিকের কথায়, “সোনারপুরবাসীর নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি নেই। সবাইকে আশ্বস্ত করছি, আইন অনুযায়ী তদন্ত হবে।”