Dengue

ডেঙ্গিতে মৃত্যু, এ বার কাঁচরাপাড়ায়

দিন পনেরোর টানা জ্বর, ডাক্তার, ওষুধ—বাঁচানোর চেষ্টা করেও হার মেনেছেন গণেশের পরিবার। সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।

Advertisement

বিতান ভট্টাচার্য

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নৈহাটির ভিকি সাউ-এর পর কাঁচরাপাড়ার গণেশ রজক (২৬)। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালীনগর এলাকার বাসিন্দা গণেশের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার কল্যাণীর হাসপাতালে। মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা হয়েছে, ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন গণেশ।

Advertisement

দিন পনেরোর টানা জ্বর, ডাক্তার, ওষুধ—বাঁচানোর চেষ্টা করেও হার মেনেছেন গণেশের পরিবার। সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। কালীনগরে নিজেদের বাড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা। এখানে ওখানে জমে থাকে জল। বুধবার গণেশের বাবা রতনবাবু বলেন, ‘‘কাঁচরাপাড়ায় তো আর হাসপাতাল নেই। ভাল চিকিৎসকও নেই। ছেলের ডেঙ্গি ধরার পড়ার পরেও ঘরেই চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। সোমবার থেকেই বুকে খুব ব্যথা বলছিল।’’ এরপরেই গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গণেশকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলের মৃত্যুতে রতনবাবু নিজের কপালকে দুষলেও পাড়া পড়শিরা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার উদাসীনতায়। বুধবার ওই এলাকায় ব্লিচিং আর মশা মারার তেল ছড়ানোর পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে কোনও রকম অপপ্রচার যাতে না হয় তা নিয়ে মাইক বেজেছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে অনেকে আক্রান্ত। বেশির ভাগেরই ঘরে চিকিৎসা চলছে। আর শাসকদল বিষয়টা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’ শম্ভুবাবুর মতো অনেকেরই একই অভিযোগ।

শুধু ধোঁওয়া দিয়ে, তেল ছড়িয়ে চলে যাচ্ছে পুরসভা বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ঘন বসতির কাঁচরাপাড়ায় ডেঙ্গির বীজ ছড়িয়ে আছে। আগে থেকে সচেতনতায় অনেকটাই ফাঁক ছিল বলেও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায় বলেন, ‘‘আচমকাই ডেঙ্গি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আক্রান্তও হয়েছেন অনেকে। তবে আমরা ডেঙ্গি নিধনের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’’ যে এলাকায় গণেশের বাড়ি, সেখানে এ দিন পুরপ্রধান সুদামা রায় যান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জমা জল ও পরিচ্ছনতার বিষয়টি দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন