পাচারের আগে দিল্লি থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে আনল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে পাচার চক্রের চাঁইকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সামসুল সর্দার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। এ দিন রাতেই ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীর ৬ নম্বর ভরতগড়ের বাসিন্দা সামসুল ওরফে রাহুলের সঙ্গে সাগরের কোম্পানিছাড়ের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। গত ২৪ ডিসেম্বর দিদার বাড়ি যাচ্ছি বলে বেরিয়ে ওই তরুণী নিখোঁজ হয়ে যান। ২৭ ডিসেম্বর ওই তরুণী তাঁর জামাইবাবুকে ফোন করে জানান, তাঁকে দিল্লির মহাবীর এনক্লেভ এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে বিক্রির পরিকল্পনা চলছে। এর পরেই ২৮ ডিসেম্বর সাগর থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণীর পরিবার। তারপর সাগর থানার সাব ইন্সপেক্টর শুভাশিস দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিল্লি রওনা হয়। সোমবার বিকেলে একটি ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তার পর ওই তরুণীর থেকে খোঁজ পেয়ে সামসুলরে ধরা হয়।প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ধৃত সামসুলের স্ত্রী এবং একটি চার বছরের সন্তান রয়েছে। সেই সব লুকিয়ে সে সাগরের ওই যুবতীকে বিয়ের টোপ দিয়ে দিল্লি নিয়ে যায়। ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, সামসুল দীর্ঘ দিন ধরেই দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নারী পাচারের কাজ করছে। এর আগেও বাসন্তীর একটি মেয়েকে পাচারের অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। সে সবও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।