আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তরুণীকে

স্বামীর ঘরে অশান্তির জেরে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেছিলেন এক মহিলা। সেখানে পৌঁছে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। কয়েক ঘণ্টা পরেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩০
Share:

স্বামীর ঘরে অশান্তির জেরে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেছিলেন এক মহিলা। সেখানে পৌঁছে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। কয়েক ঘণ্টা পরেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সাগর থানা এলাকার খানসাহেব আবাদ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী দাস (২১)। এই ঘটনায় তাঁর শাশুড়ি দীপু দাস ও তিন ননদ সুমিত্রা মাঝি, মনসা পাত্র, পারুল সাঁতরাকে বাঁশতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে সকলকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে বাঁশতলা এলাকার ব্যবসায়ী প্রবীর দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীর। তাঁদের বছরখানেকের এক ছেলে। পারিবারিক অশান্তির জেরে গত দু’বছর ধরে বাপের বাড়িতে চলে আসেন লক্ষ্মী। বছরখানেক আগে প্রবীর আবার বিয়ে করেছিল বলেও অভিযোগ। রবিবার বিকেলে হঠাৎই লক্ষ্মীর বাপের বাড়িতে গিয়ে শাশুড়ি-ননদেরা চড়াও হয়। মারধর করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে মার খান লক্ষ্মীর মা কাঞ্চন প্রামাণিকও। ওই রাতেই লক্ষ্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মেলে।

Advertisement

তাঁর দাদা উত্তম প্রামাণিক থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা, মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘ওদের মারের চোটে বোনের মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। আমার বৃদ্ধা মাকেও ছাড়েনি।’’

কেন আলাদা থাকার দু’বছর পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসে ওই তরুণীকে মারধর করল, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement