ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু বনগাঁ শহরে

টোটোর পরিবর্তে ইলেকট্রনিক রিকশা অথবা ই-রিকশা চালু হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনায়।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪১
Share:

টোটোর পরিবর্তে ইলেকট্রনিক রিকশা অথবা ই-রিকশা চালু হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনায়। শুক্রবার বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে কয়েকজন টোটো চালকের হাতে ই-রিকশা তুলে দেওয়া হল। দিন কয়েকের মধ্যেই সেগুলি রাস্তায় নামবে।

Advertisement

বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘বনগাঁ শহরে প্রায় ৫০০টি টোটো চলাচল করে। এ দিন ৬৭ জন টোটো চালকের হাতে ই-রিকশা তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, গোটা জেলায় ১৫ হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে। ধীরে ধীরে সেগুলি তুলে ই-রিকশা নামানো হবে। বনগাঁ থেকেই ওই প্রক্রিয়া শুরু হল। ইতিমধ্যেই আরও ২০টি ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। পুরো জেলায় এই কাজ দ্রুত শেষ করতে পুরপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।

জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটোর গঠন বিজ্ঞানসম্মত নয়। বর্ষাকালে এই গাড়ি রাস্তায় চললে শট সার্কিট পর্যন্ত হতে পারে। অটোর ধাঁচে তৈরি করা ই-রিকশা তুলনায় অনেক নিরাপদ। প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি ওজনের ই-রিকশার ইঞ্জিন এবং ব্রেক শক্তিশালী। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম। টোটোর কোনও আইনি বৈধতা ছিল না। কিন্তু ই-রিকশার ক্ষেত্রে সব নথি থাকবে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে মিলবে বিমার সুবিধা। গাড়িগুলির নম্বর প্লেট এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে।

Advertisement

ই-রিকশা

টোটো

• দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা অনেক কম।

• ওজনে ভারী। ইঞ্জিন ও ব্রেক শক্তিশালী।

• নম্বর প্লেট, চালকের লাইসেন্স রয়েছে।

• দুর্ঘটনা ঘটলে বিমার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

• বিজ্ঞানসম্মত নকশা।

• দুর্ঘটনা হতে পারে। শর্ট সার্কিটের আশঙ্কা রয়েছে।

• ওজনে হালকা। ইঞ্জিন ও ব্রেকে কারিগরি সমস্যা।

• নম্বর প্লেট, চালকের লাইসেন্স নেই।

• দুর্ঘটনা ঘটলে বিমার সুবিধা পাবেন না যাত্রী।

• নকশায় গলদ রয়েছে।

জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, টোটো থেকে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও রাজস্ব আসত না। কিন্তু ই-রিকশা থেকে সরকার রাজস্ব পাবে। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ সংস্থার সরকারি প্রতিনিধি গোপাল শেঠ জানান, পরিবহণ দফতর অনুমোদিত কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থার কাছে টোটো গাড়ি জমা নেওয়া হবে। তারপরে সেগুলি থেকে ব্যাটারি ও চার্জার খুলে নেওয়া হবে। সেগুলির বাজারমূল্য পাবেন টোটোর মালিক। তারপরে ই-রিকশা কিনতে যে টাকার ঘাটতি থাকবে সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।

জেলা পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত কয়েকটি সংস্থা টোটো গাড়ি পরীক্ষা করে জানিয়েছে, সেগুলি চলাচলের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। ওই গাড়ির কোনও আইনি বৈধতা ছিল না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন