বেতন পাচ্ছেন না অস্থায়ী কর্মীরা

মাস তিনেক ধরে বেতন পান না তাঁরা। সংসার চলছে কোনও রকমে। পুজো চলে এল, তবু বেতন মিলছে না— এ নিয়ে ক্যানিং হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

প্রতিবাদ: সোমবার তখনও চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

মাস তিনেক ধরে বেতন পান না তাঁরা। সংসার চলছে কোনও রকমে। পুজো চলে এল, তবু বেতন মিলছে না— এ নিয়ে ক্যানিং হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন।

Advertisement

তাঁরা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি। সোমবার থেকে তাঁরা কাজ বন্ধ করে রেখে অবস্থান শুরু করেন। ফলে হাসপাতালের ওটি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজের সমস্যা হয়। মঙ্গলবার অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজ শুরু করেছেন ওই অস্থায়ী কর্মীরা।

প্রায় ১৯ জন অস্থায়ী কর্মী আছেন এখানে। যাঁরা সাফাই কর্মী হিসাবে ওয়ার্ড, ওটিতে কাজ করেন। ওই অস্থায়ী কর্মীরা একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে। তাঁদের বেতন ওই সংস্থা থেকেই দেওয়া হয়। অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না।

Advertisement

অস্থায়ী কর্মী স্বপন মাঝি, পদ্মা পাত্র বলেন, ‘‘সামনে পুজো। পরিবারের কারও জন্য কিছু কেনাকাটা করতে পারছি না। টাকার জন্য ঠিকাদারকে বলতে গেলে তাঁরা বলেন, অফিসে যোগাযোগ করতে। অফিস থেকে বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলতে।’’

বেতনের সাড়ে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পিএফের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। তার কোনও কাগজপত্র তাঁরা পান না বলেও অভিযোগ। তাঁদের টাকা কোথায় জমা পড়ছে, তা-ও জানেন না। এ বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে সুমিত মোদক জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা মতো কিছু সংশোধনের পরে বিল জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল এখনও ঠিকাদার সংস্থাকে টাকা দেয়নি। তাই ওই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে ক্যানিং হাসপাতালের সুপার অর্ঘ্য চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ভাবে কিছু না জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে ওঁরা ঠিক করেননি। এর ফলে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে ফোন করলে তাঁরা ফোন ধরেন না। ডাকা হলে ঠিক মতো আসেন না। ফলে সমস্যা তৈরি হয়। ঠিকাদার সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন