রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, পুরসভা দখলে নেমেছে তৃণমূল। এমনকী, বিরোধী বিধায়কেরাও যোগ দিচ্ছেন শাসক দলে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনের মধ্যে একমাত্র বাদুড়িয়ার আসনটি এখনও কংগ্রেসের দখলে। জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে থাকলেও এই আসনটি এখনও কংগ্রেসের কাছেই থেকে গিয়েছে। বাদুড়িয়ার আসনটিও তিন মাসের মধ্যে তাঁরা দখলে আনতে চলেছেন বলে জানিয়ে দিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মঙ্গলবার বাদুড়িয়ায় দলের এক কর্মিসভায় এসে এ কথা জানিয়ে গিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। গোটা জেলায় এই প্রান্তেই কংগ্রেস এখনও বেশ শক্তিশালী। জেলার একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিধায়ক পদটিও বাদুড়িয়ায় কংগ্রেসেরই দখলে। অবিলম্বে পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পাশাপাশি বাদুড়িয়া-সহ জেলা জুড়ে সিপিএম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের ‘যুদ্ধ’ শুরু হল বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্টের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় মানুষকে বিজেপি উস্কানি দিচ্ছে।’’ কোনও এলাকায় বিজেপি ‘উস্কানিমূলক’ কিছু করলে তা দ্রুত পুলিশকে জানাতে হবে বলে কর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন তিনি। আগামী তিন দিন মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে, গ্রামগঞ্জে ছোট ছোট মিছিলের মাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি আগামী জানুয়ারি থেকে জেলা জুড়ে কর্মসূচি গ্রহণের জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। এক দিন আগেই বসিরহাটে সভা করে তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস সদ্য দলে যোগ দেওয়া অসিত মজুমদারের নাম না করে তাঁর সমালোচনা করেছিলেন। যা দলের অন্দরের দ্বন্দ্বকে সামনে এনে ফেলল কিনা, তা নিয়ে জল্পনা জোরদার হয়। এ দিন অবশ্য দীপেন্দু এবং অসিতবাবুকে দু’পাশে বসিয়ে বক্ততা করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর কথায়, ‘‘দলের কারও কারও মধ্যে বাকবিতণ্ডা থাকতেই পারে। অবিলম্বে বসে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলে সিপিএম-বিজেপির মতো শত্রুদের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ে নামতে হবে।’’