কালীপুজোয় তৈরি হচ্ছে মধ্যমগ্রাম। যেমন, এ বছর মাইকেলনগর নেতাজি সঙ্ঘ বেত ও হোগলা পাতার কাল্পনিক মন্দির তৈরি করে দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। দেবীর দু’পাশে থাকছে কৃষ্ণ-সুদামা। চন্দননগরের আলোর পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় সুভাষ মাঠে ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবে ফাইবার আর প্যারিসে হচ্ছে জয়পুরের মানসিংহের প্রাসাদ ও অ্যালবার্ট হল। দেবীর দু’ধারে রাজস্থানি মূর্তি থাকছে। চন্ডীগড় ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাবের তৈরি রাজবাড়িতে থাকবে কাঠের পুতুল ঘোড়া। দশ মহাবিদ্যার রূপগুলি দেখা যাবে রবীন্দ্রপল্লি অ্যাথলেটিক ক্লাবের মণ্ডপে। এখানে চন্দননগরের আলো থাকবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
নবারুণ সঙ্ঘের বাঁশ ও চটের মণ্ডপে থাকছে বিভিন্ন কারুকার্য। এখানে মূর্তির কোন কাঠামো নেই। এখানে মাতৃমূর্তি দাঁড়িয়ে আছে শুধুমাত্র একটি খুঁটির উপরে। যুবগোষ্ঠীর ভাবনায় ‘দশ নয় বারবার।’ বিষ্ণুর দশ অবতার। দেবী এখানে দয়াময়ী মায়ের রূপে। পূর্বাশা যুবপরিষদের মণ্ডপে আলোর কারসাজিতে শ্যামা মা জ্যোতির্ময়ী রূপে দেখা দেবেন। রোদ-জল-বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে এখানে। শ্রীপুর নেতাজি সঙ্ঘ তৈরি করেছে চাঁদের পাহাড়। আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হবে। ছুটে পালাবে হাতির পাল, সিংহ, বাইসন। বিধানপল্লি চৈতালি উদ্যান ও কিরণ পার্ক অধিবাসীবৃন্দের ভাবনায় বর্ণমালায় শক্তির আরাধনা।
পাইন কাঠের কারুকার্যে মায়ের বিভিন্ন রূপ দেখানো হচ্ছে এখানে। জীবনে আলোর ভূমিকা নিয়ে শ্রীনগর তিন নম্বর অধিবাসীবৃন্দের ভাবনা ‘আলোকের এই ঝর্না ধারায়’। সুভাষপল্লি অধিবাসীবৃন্দ যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য করছে এ বছরের পুজোয়। যুদ্ধ নয়, শান্তি রূপে দেবী। আকাশে উড়বে হেলিকপ্টার। বীরভূমের তারনদা গ্রামের অনুকরণে আদি রূপ দেখা যাবে বসুনগর প্রতাপ সঙ্ঘের পুজোয়। দেবী এখানে নটরাজ রূপে। প্রতিমার দু’পাশে থাকবে বাঘ-সিংহ। বসুনগর মৈত্রেয়ী সঙ্ঘ বাঁকুড়ার জমিদার বাড়ির ভগ্নাবশেষ তৈরি করেছে।
এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী আর স্বামী বিবেকানন্দের জীবন্ত মডেল । বসুনগর যুবকবৃন্দ এ বার এক টুকরো রাজস্থান তুলে ধরছে তাদের পুজোয়। মরুভূমির মধ্যে রাজস্থানের গ্রাম। এই মণ্ডপের দেওয়ালে নানা আলপনা আঁকা থাকবে। কাল্পনিক মন্দিরে
আলো আঁধারির খেলায় মাতবে বসুনগর তরুণ সঙ্ঘ। বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো বলবে মহাভারতের গল্প। রথের উপরে সওয়ার অর্জুন আর সারথি কৃষ্ণ এই পুজোর আকর্ষণ। শৈলেশনগর দোহাড়িয়া যুবক সঙ্ঘের পুজোয় মণ্ডপ হচ্ছে প্যারিসের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে। এ ছাড়াও শ্রীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব, আমরা ক’জন, ইয়ং সেন্টারের মত বেশ কিছু ক্লাবের পুজোও নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের।